সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
অনেক সময় মেঘের গর্জন ছারাই হঠাৎ করে বৃষ্টি পড়তে দেখা যায় কিন্তু হঠাৎ বিনা নোটিশে সরকারের প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ঋনদাতা সংস্থ্যা তথা ক্ষুদ্রঋন এনজিও সংস্থ্যা সরকারের বেধে দেওয়া নিদিষ্ট সময় শেষ না হতেই ঋন গ্রহিতাদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে মানষিক চাপ সৃষ্টি করে গ্রহন করবে ঋৃনের টাকা এ যেন হঠাৎ বৃষ্টি নয়, বিদুৎ চমকানোর অবস্থা যা পূর্বে দেখা যায়নি।
দেশের এই মহামারী ক্রান্তিকালে সিমিত আকারে সরকার সব কিছু খুলে দিলেও মানুষ তার আয় রোজগারের পথ নিদিষ্ট ভাবে করতে পারবে কিনা তা এখনও অনেকেই সংশয়ে আছেন। প্রতিদিনের আয়ের উৎস মানুষ গুলো এখনও তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারছেনা সিমিত আকাওে খুলে দেওয়ার কারনে। দেশের অধিকাংশ পেশা শ্রেণীর মানুষ যারা ঋন নিয়ে ব্যবসা করতেন তারা গত আড়াই মাস যাবৎ নগদ অর্থ ভেঙ্গে সংসার চালিয়েছেন, সেই সকল ব্যক্তিরা হঠাৎ ঋৃনের টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে? তবে সরকারের বেধে দেওয়া সময় সিমা অনেকেই অবগত আছেন।
একটি নিদিষ্ট সময় যখন বেধে দেওয়া হয় তখন সেই সময়কে সম্মান দেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষ জানান কারণ সরকার যা করেন দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্যই করেন। কিন্তু এ দেশে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে যারা দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা কি মানবতা বিরোধী লংঘন করছেন না ? আইন অমান্যকারী দুষ্ট লোকেরা বহাল তবিয়তে কাদের ইসারায় দিনের কার্যক্রম চালান তা সরকারকেই খতিয়ে দেখতে হবে।
ঋন সংক্রান্ত সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত কোন ঋন গ্রহন করা যাবেনা সেক্ষেত্রে গ্রহিতাদের ঋন খেলাপি কিংবা বকেয়া আছে এমন কথা বলা যাবে না কিন্তু সিমিত আকারে সব কিছু খুলে দেওয়ার পর হতে দেশে ঋনদাতারা সকাল হতে ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে, কেউবা মটর বাইক নিয়ে ঋন কালেকশনে বের হয়েছেন এতে হঠাৎ করে ঋন গ্রহিতাদের চাপের মুখে পরতে হয়েছে। কিছু সচেতন সদস্যদের ছার দিয়ে অসহায়দের উপর এক প্রকার জুলুম সৃষ্টি করে সংগ্রহ করা হচ্ছে পূর্বের ঋনের বকেয়া টাকা।
ঋনের জালা সইতে না পেরে ভুক্তভোগীরা জানান লক ডাউন কিংবা সিমিত আকারের খুলে দেওয়ার মানে এই নয় মানুষ তার আয়ের উৎস ফিরে পেয়েছে। দেশের সকল কার্যক্রম যেহেতু এখনও স্বাভাবিক হয়নি সেখানে মানুষ কিভাবে ঋনের টাকা পরিশোধ করবে। দেশের অধিকাংশ ঋন গ্রহিতা সরকারের কাছে আর্জি এই করোনার ক্রান্তিকালে সিমিত আকারের মধ্য দিয়ে নতুন করে জীবন যাত্রা শুরুর আগে কিস্তি নয়, সেক্ষেত্রে আরো ৩ টি মাস এই ঋন পরিশোধ বন্ধ থাকলে দেশের অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হবে।
প্রতিদিনের আয়ের উৎসের মানুষ গুলো ফিরে পাবে নতুন এক দিগন্ত। তাই পুনরায় ঋন পরিশোধের সময় সিমা বর্ধিত করলে উপকৃত হবে এই সব খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো।