সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমপি সেলিম ওসমানের দেওয়া ৬৬৫জন সেচ্ছাসেবীকে তাদের এক মাসের ৪৫০০ টাকা সম্মানী থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে ১৫০০ টাকা করে প্রত্যেকের একাউন্টে প্রেরণ করা হয়েছে। যার পরিমান ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা।
বুধবার ২০ মে সকালে প্রত্যেকে বিকাশ একাউন্টে উক্ত সম্মানীর অগ্রিম অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ২০ জন করে ১৪০ জন। সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সহ ২৩ জনের মাধ্যমে ২০ জন করে এর মধ্যে ১৩নং ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ৫ জন সহ ৪৬৫জন, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ২০ জন করে ৬০জন এবং জেলা পরিষদের সদস্য আবুল জাহের এর মাধ্যমে ২০জন এবং বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে ২০জন সহ মোট ৬৬৫জন সেচ্ছাসেবীর প্রত্যেককে এক মাসের সম্মানী প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে প্রদান করা হয়েছে।
বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে যাদের সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল টুনার্মন্টের বন্দর উপজেলা থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়ার।
প্রসঙ্গত, করোনা সংকট মোকাবেলায় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪ দফায় মোট ৩৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করলেন এমপি সেলিম ওসমান ও তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। যার মধ্যে এমপি সেলিম ওসমান তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ ও ৩১ মার্চ প্রথম ধাপে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দরের ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল করেছেন।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ এপ্রিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষ্যে বন্দর এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৫০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে ৫০ হাজার কেজি চাল বিতরন করেছেন। তৃতীয় দফা ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল সহ সর্বমোট ২ লাখ ৩৪ হাজার কেজি চাল বিতরন করা হলো।
এছাড়াও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণ করা হয়েঠে। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
বাকি ২৮ লাখ টাকায় প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় ২০জন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী মোট ৬৬৫জনকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ঈদ উপলক্ষ্যে অগ্রিম ১৫০০ টাকা করে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে।