সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনা সংকট মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন এলাকার প্রায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে সহযোগীতার ঘোষণার পর দ্বিতীয় ধাপে আরো ৬ হাজার পরিবারের মাঝে সেই সহযোগীতা পৌছে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ঘোষিত সহযোগীতার ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার মাঝে দুই ধাপে ৯৯ লাখ টাকা সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে।
তবে এরমাঝে প্রথম ধাপে প্রেরিত ১০টি ওয়ার্ডে ৫হাজার পরিবারের মাঝে পাঠানো আর্থিক সহযোগীতা বিকাশ একাউন্টে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দ্বিতীয় ধাপে ওই ৬ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগীতা প্রত্যেকের বিকাশ একাউন্টে পৌছে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০ জন করে মোট ৬জনের মাধ্যমে ৩হাজার জন্য এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ১ হাজার জন করে মোট ৩টি ইউনিয়ন এলাকায় ৩ হাজার জনকে প্রেরন করা হয়েছে।
সহযোগীতা প্রেরণ করা এলাকা গুলো হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ড, ১৬নং ওয়ার্ড, ২২নং ওয়ার্ড, ২৬নং ওয়ার্ড ও নারী কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংরক্ষিত ১৩,১৪,১৫ এবং ২৫,২৬,২৭নং ওয়ার্ড। ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর মধ্যে আলীরটেক, গোগনগর ও মদনপুর ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে সেলিম ওসমান বলেন, অনেকের বিকাশ একাউন্ট না খুলেই আমার কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। যার ফলে ওই ৩৪২জন মানুষের কাছে সহযোগীতা পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি তাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করছি।
সেই সাথে আগামী রোববারের মধ্যে তাদের একাউন্ট গুলো খুলে আমার কাছে প্রেরণ করার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরের কাছে লিখিত ভাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি নিভূল ভাবে তালিকা প্রেরণ করলে সকলের কাছে সঠিক সময়ে সহযোগীতা পৌছে দিতে পারবো। এখন পর্যন্ত যেসকল ওয়ার্ড এবং যাদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশেদ আলী ঝুন্ট, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, সংরক্ষিত ১১,১২ওয়ার্ড এর নারী কাউন্সিলর মিনুয়ারা বেগম এবং ১৮নং ওয়ার্ড এলাকায় কাউন্সিলর কবির হোসেনের না আসায় তার পরিবর্তে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার মাধ্যমে প্রেরিত বিকাশ একাউন্টে প্রত্যেককে ৯০০ টাকা করে মোট ৫ হাজার বিকাশ একাউন্টে মোট ৪৫ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়েছে।