সকাল নারায়ণগঞ্জ :
“নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে কিশোর খুনের ঘটনায় জড়িত ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।”
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ খান রায়হান (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ কদমতলী সাকিনস্থ ডিএন্ডডি লেকপাড় হৃদয় ক্লাবের সামনে গত শুক্রবার (২৩ মে) আনুমানিক সন্ধ্যা পৌনে ৬টার সময় এই খুনের ঘটনা ঘটে। একই তারিখ ও সময়ে নিহত আব্দুল্লাহ খান রায়হান তার বন্ধুদের নিয়ে ক্লাবের দক্ষিণ পাশের চত্ত্বরে আড্ডা দেয়ার সময় পূর্বে সংগঠিত মারামারির জেরে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ আরো ১৪/১৫ জন মিলে ভিকটমের উপর অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়ে তন্মধ্যে একজনের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ভিকটিমের বুকের বাম পাশে স্বজোরে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। তারপর উপস্থিত লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরই প্রেক্ষিতে নিহত ভিকটিম আব্দুল্লাহ খান রায়হান এর পিতা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই নৃশংস হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্যে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পরবর্তীতে নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব- ১১, সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ ১টি চৌকস আভিযানিক দল শনিবার (২৪ মে) রাত ১টা ২০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বর্ণিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৪ ও ৮ নং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নয়াপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ হৃদয় (৩০) ও
পিতা- মোঃ আব্দুস সামাদ, সাং- নয়াপাড়া, থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী সদর থানাধীন গঙ্গাবর, মাইজদী এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আল আমিন (২০)।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।