জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা-২০২২ প্রদান উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে গতকাল সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় একাডেমী প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি। জেলা শিল্পকলা অফিসার রুনা লায়লার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর, জেলা নারী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান আরা আকসির।
স্বাগত বক্তব্যে রুনা লায়লা বলেন, গুনী শিল্পী ও সম্মাণিত ব্যক্তিদের সম্মান জানাতে পেরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী গর্বিত।
প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে গুণীজনদের সম্মাননা জানানোর সুযোগ দেয়ার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পাশাপাশি জেলা শিল্ডকলা অফিসারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর এ আয়োজনের জন্য।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চা না থাকলে কোনো সমাজ এগিয়ে যেতে পারেনা। তাই আরও বেশী বেশী সাংস্কৃতিক চর্চার আয়োজন করতে হবে। আপনারা জানেন, চারদিকে মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। আমাদের সন্তানরা যাতে মাদক থেকে দুরে থাকতে পারে তাই বাবা-মা’দের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনার সন্তানকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করুন।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন, যে জাতি গুণীজনদের সম্মান দিতে জানেনা, সেই জাতিতে গুনীজন তৈরি হয়না। তাই গুনী শিল্পীদের সম্মাননা জানানোর এ আয়োজন করা জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও শিল্পকলা অফিসারকে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা সিভিল সার্জন বলেন, আসুন সংস্কৃতিকে ধরে রাখি, লালন করি। যতো ধারণ করবো ততই আমরা ভালো থাকবো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গুনীজনদের সম্মাননা দেয়ার মতো যোগ্যতা আমাদের নেই। জাতীয়ভাবে আরও বড় বড় গুনীজনদের মাধ্যমে আজকের এই গুনীজনদের সম্মাননা জানালে ভালো হতো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতিকে ধারণের লক্ষ্যে মুলত গুনীজনদের সম্মাননা দেয়ার আয়োজন। আমরা যদি গুনীজনদের সম্মান না দেই, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসবেনা। সংস্কৃতি চর্চা করলে আমরা সুস্থ-সুন্দর একটা জাতি পাবো এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের এই গুনীজনদের অবদান অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
কণ্ঠসংগীতে অবদান রাখায় রাজু আহমেদ, যন্ত্রসংগীতে লক্ষণ চন্দ্র দাস, নাট্যকলায় ইদ্রিস আলী, শিল্পচর্চায় শিল্পী কবির আহমেদ মাসুম, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষণায় মীর আব্দুল আলিমকে এই গুনী শিল্পী সম্মাননা প্রদান করা হয়।