সংবিধান, আইএলও কনভেনশন ও শ্রমিকের অর্জিত ধর্মঘটের অধিকার পরিপন্থি অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল বাতিল এবং ঈদের আগে শ্রমিকের বকেয়া, জুন মাসের চলতি বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫.৩০ টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও ২ নং রেল গেইটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি এম এ মিল্টন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে সংসদে অত্যাবশ্যকীয় পরিরষেবা বিল নামে একটি বিল উত্থাপন করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। শ্রম প্রতিমন্ত্রী কোন বিল উত্থাপন করলে শ্রমিকদের আনন্দিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যে বিল উত্থাপন করেছেন তাতে শ্রমিকরা প্রথমে হতবাক, আতংকিত এবং বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
এই বিল আইনে পরিণত হলে শ্রমিকের অধিকার আদায়ে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। আইনে উল্লেখিত খাত সমূহে সরকার ইচ্ছা করলে ধর্মঘট বাতিল করতে পারবে। ধর্মঘটের অধিকার, শ্রমিকের সংবিধান, আই.এল.ও কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অধিকার।
অপরদিকে বিদ্যমান শ্রম আইনেই ধর্মঘটের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিগত এক দশকে প্রস্তাবিত আইনে উল্লেখিত খাত সমূহে উল্ল্যেখযোগ্য ধর্মঘটের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। তা সত্তে¡ও ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য আলাদা আইনের প্রস্তাবনা দুরভিসন্ধিমূলক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিলে ধর্মঘট আহŸানকারীর চেয়ে সমর্থনকারীর জন্য দ্বিগুণ শাস্তির প্রস্তাব এবং ধর্মঘট আহŸানকারীদের অর্থনেতিকভাবে সহায়তা করার শাস্তি আরো বেশি করার প্রস্তাব প্রমাণ করে এই আইন শ্রমিকের সামগ্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত করার উদ্দেশ্য থেকেই প্রণয়ন করতে চাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ সংসদের চলতি অধিবেশনেই শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কালো আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলেন শ্রমিকের অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
নেতৃবৃন্দ সমাবেশে ঈদের আগে শ্রমিকের সকল বকেয়া, জুন মাসের চলতি বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।