গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বন্দর থানার ফরাজীকান্দা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আমি আলী হায়দার শামীম (পিতা মরহুম রুস্তম আলী ডাক্তার) নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্যাবল টিভি ওনার্স (ডিস লাইন) সমিতির সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বন্দরের ফরাজীকান্দা এলাকায় ভূমি সংক্রান্ত সংঘর্ষের ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সংঘর্ষের সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল বলে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি। পুলিশের নিজস্ব ক্যামেরাম্যানও ছিল। এখন হাতে হাতে মোবাইল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে সিসি ক্যামেরা বা ভিডিও ফুটেজ দিয়ে প্রমাণ কর। কোনো প্রমাণ ছাড়া কেউ বললে বা দাবি করলে তা হবে না। প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের সাথে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকেই আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।
আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে বিতর্কিত করার জন্য মরহুম রাইসুল ইসলামের ছোট ছেলে তানভীর আহমেদকে দিয়ে বন্দর থানায় আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ মার্চ আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। না যা শতভাগ সত্য। বন্দর থানা সংঘর্ষ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
আমি এই ভুয়া খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সবশেষে আলী হায়দার শামীম সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ আতাহার আলী সাহেবের অধীনে চিকিৎসাধীন আছি। তার পরামর্শে, আমাকে সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়, এখন ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে, এবং আমার তিনটি হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
ডাক্তাররা আমাকে রিং পরানোর পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু আমি শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ, ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি গত সাত দিন ধরে বিছানায় বিশ্রামে ছিলাম এবং একটু সুস্থ হলেই হার্টের রিং পাব। আমার বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ বুঝতে পারবে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সাংবাদিক ভাইসহ সবাইকে সঠিক তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করব।