বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গায়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনার খুব ভালো দুইটা নীতি আছে। একটা হলো ভোট চুরি, অপরটি হলো দুর্নীতি। জনগনের কপাল পুরছে আরও ওদের ফুল ফুটতেছে।
যে টাকা গুলো বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, সেটা টাকা গুলো কি আর আসবে। একবার চিন্তা করে দেখছেন আপনি ৫শ টাকা নিয়ে বাজারে যেতে পারেন, আর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্চে।
আমি শুধু সরকারের কাছে এতটুকুই দাবি জানাবো যে, ২০০৮ সালে ওদের কে কত টাকার মালিক ছিলো আর ২০১৮ সালে কতটাকার মালিক হইছে; তা জনসম্মুখ্যে প্রকাশ করা হোক।
শনিবার (১৮ই মার্চ) বিকেল সাড়ে তিন টায় নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোডে মহানগর বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনিয় পন্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, অবৈধ সংসদ বাতিলসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে এ কর্মসূচির পালন করে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গায়েশ্বর চন্দ্র রায় বিৎুদ উৎপাদন ও দাম প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ২০২৮ সালে স্বপ্ন দেখিয়েছিলো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবে। আর কুইক রেন্টালের নামে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো নির্মান করছে, এই কেন্দ্র গুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক; টাকা কিন্তু ঠিকই দিতে হবে। আমাকে যেহেতু মরতেই হবে, তাহলে আমি সত্য কথা বলবো না কেনো।
আমাদের এখানে রাশিয়ার একটি কোম্পানি দ্বারা একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে, আবার ভারতেও একই কেপাসিটির একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে; আমাদের থেকে অর্ধেক দামে।
তিনি আরও বলেন, এদেশে টাকা থাকলে কোন নিয়ম নাই, টাকা না থাকলে নিয়মের ছরাছরি। তো জেল যাওয়া মামলা খাওয়া আমার কাছে মনে হয় একটা সাধারণ ব্যাপার।
আজকাল বড় বড় রাস্তা ঘাট হচ্ছে। মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। এই মেগা প্রজেক্ট মানে মেগা চুরি আর কুইক রেন্টাল মানে কুইক কমিশন। যে কারনে রাতারাতি এত টাকা বিদেশে পারি জমাইছে। আজ আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অর্থনৈতিক দুরঅবস্থা।
এসময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. শাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড, আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মাসিকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম সজল, গোলাম মোস্তফা সাগর।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনির হোসেন খান, রেজা রিপন, সদস্য এড,রফিক উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান, মাসুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিন শিপলু, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক মোঃ নুর মোহাম্মদ পনেছ,সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হিরন,সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ শিশির, নজরুল মাদবর, শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব মোঃ ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা
যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মোঃ দুলাল হোসেন, মীর্জা জনি সহ প্রমুখ।