মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দুর্বল নয়। অনেকে দুর্বল করার চেষ্টা করে প্রচার করে কিন্তু পরে মূলধারায় চলে আসে।
কারো জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বদনাম কাঁধে নেবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার আদর্শে যারা রাজনীতি করে তারা হলেন প্রকৃত আওয়ামী লীগার।
শনিবার ( ২৮ জানুয়ারি) বিকালে জল্লারপাড় লেক সংলগ্ন ১৭নং ওয়ার্ড ও ১৮নং ওয়ার্ড মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে নয় মাসের সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর দেশে ফিরে আসার মধ্য দিয়েই বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা `অপারেশন সার্চলাইট` বাস্তবায়নে লাখ লাখ নিরীহ জনগণের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায়। এ প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরুর ডাক দেন। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর দখলদার পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটকে রাখে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতেই দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
আর অবরুদ্ধ বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রহসনের বিচারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কারাগারের যে সেলে তাকে রাখা হয়েছিল, সেই সেলের পাশে কবর পর্যন্ত খোঁড়া হয়।
আর অনেকে বলেন জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন? জিয়াউর রহমান তার জীবনদশায় বলেনি তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। বর্তমানে জিয়ার অনুসারিরা নিজেদের স্বার্থ হাসিসের জন্য জিয়াকে এমন অদ্ভু্ দাবী করে বির্তকিত একটা অবস্থান সৃস্টি করছেন।
এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, আহসান হাবীব, জেলা যুবলীগ এর সভাপতি আব্দুল কাদির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ হোসনে আরা বাবলী, নাসিক ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র -১ আব্দুল করীম বাবু, নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেন, নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কবীর হোসেন সহ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৭নং ও ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৭নং ওয়ার্ড ও ১৮নং আওয়ামী লীগের ত্রি – বার্ষিক সম্মেলনে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি পদ স্থগিত করা হয় পরে সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদ উল্লাহ, ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক, কবীর হোসেন।