বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বন্দর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বিকেলে বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান টিপু।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মোঃ ফায়সাল কবির’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন
বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ’র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নাসির উদ্দিন প্রধান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ রশিদ বলেন, আমরা রাজনৈতিক ফয়দা কিভাবে উঠাব। এক নম্বরকথা হলো আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বা আমাদের সরকার জনগণের কল্যানের জন্য যেসব কর্মকন্ড উনারা করেছেন। যেগুলো জনগণের মধ্যে বিতরণ করেছেন।
তার ধারক এবং বাহক হিসেবে জনগণের কাছে পৌছিয়ে দেওয়। এ দায়িত্ব আমরা কতটুকু পালন করছি। আপনারা স্লোগান দিচ্ছেন রশিদ ভাইয়ের পাশে আমরা আছি। থাকবেন ভাল কথা। কিন্তু জননেএী শেখ হাসিনার পাশে নাই আমরা। এই বক্তবটা এই স্লোগানটা তাই বোঝা যায়। কারণ হলো আমরা কিন্তু নেত্রীর এতো সফলতা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ৫২ বছরের ইতিহাসে আমরা কিন্তু, এই জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সফলতা করেছেন। পিছনের ইতিহাস যদি আমর দেখি এর একটাও সাক্ষর রাখতে পারেনাই কোন দল, কোন নেতা বা নেত্রী। এরকম ইতিহাস এই বাংলাদেশে কারো নাই।
এম এ রশিদ আরও বলেন, একটানা নয়টি বৎসর ছিল জাতীয় পাটির চেয়ারমান হুসাইন মেহাম্মদ এরশাদ। উানি উপাধি দিলেন। উনার উপাধি উনিই দিয়েছেন। আমরা দেইনাই পল্লীবন্ধু। আমার বক্তব্য হলো এটা এত বড় উপধিটা উনি নিয়েছেন! এই বাংলাদেশের আপামর জনগণের কল্যাণার্থে উনি কি রেখে গেছেন সাক্ষর। আমরাত এটা খুঁজে পাইনা।
কিন্তু আমার নেনী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের মাঝে কি রেখেছেন আজকে চোখের সামনে আমাদের দৃষ্যমান। সেগুলো ধারক এবং বাহক হিসেবে আপনাদের উচিত প্রত্যেকটা জনগণের কাছে সেই খবরটা পোঁছাইয় দেওয়া। এবং জনগণকে আপনার কাছে টানা। জনগণের সাথে মিশে যাওয়া। জনগণের কল্যানের জন্য আপনাকে যা যা করার দরকার তা তা আপনাদের করা দরকার। এই কথাটা আমাদের আমলে নিতে হবে। আমার বুকের মধ্যে ধারণ করতে হবে। আমি যদি রাজনীতি করি। আমি যদি রাজনৈতিক কর্মী হই। আমি যদি একটা আদর্শের কর্মী হই। আমি একটা আদর্শকে যদি বাস্তবায়ন করতে চাই। তাহলে সেই আদর্শকে বহন করে ধারণ করে আামাকে সেটা জনগণের কাছে পৌঁছাইয়া দিতে হবে। আমি শুধু আমার বুকের মধ্যে ধারণ করলে চলবেনা। এই বুকের ধারণটা আমাকে জনগণের কাছে পৌঁছাইয়া দিতে হবে। জনগণের বুকে ধারণ করাইতে হবে।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল আলী, প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান ও শিপন প্রধান’র সন্ধ্যালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সিনিঃ সহ-সভাপতি- সিরাজুল ইসলাম, একই কমিটির সহ-সভাপতি ও মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ’র সাবেক সভাপতি ছগীর আহম্মেদ, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক আজিজ, বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ জমির হোসেন রনি প্রমূখ।
সম্মেলনে মোঃ ফয়সাল কবির’কে সভাপতি ও মোঃ আব্দুল আলী’কে সাধারণ সম্পাদক এবং প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান’কে সহ-সভাপতি, শিপন প্রধান’কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেণ বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ’র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নাসির উদ্দিন প্রধান। এসময় তিনি বলেন, যারা নেতা হতে চান তাঁরা সবাই সিবি দিবেন। জাচাই বাছাই করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে দিব।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর, বন্দর উপজেলা, সকল ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।