সড়কে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের যানজটে নাকাল হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসী।
যত্রতত্র এসব যানবাহন অঘোষিত স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম মোড় চাষাঢ়ায় প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট। শুরুতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হওয়ায় এসব যান জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও পরে দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তা সুবিধার পরিবর্তে জনজীবনে মহাভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়নগঞ্জের পাড়া-মহল্লা অলি-গলিতে এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। এসব যানকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও লাইসেন্স না থাকায় কথিত কিছু সাংবাদিকের নামে হরহামেশেই চলাচল করছে এসব যানবাহন।
সড়কে চলাচল করলে পুলিশ ধরে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০-১২ জন অটো চালক বলেন, ভাই আমরা অল্প কিছুদিন হয় গাড়ি চালাই। এইসব গাড়ির মালিক সাংবাদিক (কথিত)।
পুলিশ ধরলে আমরা সাংবাদিককে (কথিত) ফোন করি তারপর পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেয়।
তারা আরো বলেন,এই গাড়িরগুলোর মালিক সাংবাদিক,তারাই পুলিশকে ম্যানেজ করে। এজন্য আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমরা ওই সাংবাদিকদের (কথিত) মাসে ১৫০০ করে টাকা দেই সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেয়। এই স্টিকার লাগানো অবস্থায় আমাদের গাড়ি আটক করলে সেটা ছুটিয়ে নেয়ার জন্য ১৫০০ করে মাসোয়ারা নেয়।
ট্রাফিক শহিদুল,শফিক,আবুল বাশার এবং হাসান জানান, আমরা ১০০ টা গাড়ি আটক করলে ৮০ টা গাড়ি সাংবাদিকের (কথিত) নাম বিক্রি করে ছুটে যায়। আমরা গাড়ি আটক করলেই সাংবাদিকের কথা বলে ফোন ধরিয়ে দেয় কিন্ত তারা কি আসলেই সাংবাদিক নাকি নামধারী সাংবাদিক সেটার আসল পরিচয় জানা হয় না।
নারায়নগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত রেকারে কমিউনিটি পুলিশের সাথে সাথে কিছু দালালের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে এরা মিশুক চালকের সাথে কথা বলে টাকা নিয়ে ট্রাফিক ম্যানেজ করে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন কোন রশিদ ছাড়াই।