বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড’র পরিচালক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটু বলেছেন, আমাদের যারা অর্গানাইজেশন আছে, তাদের উচিৎ সেই প্লেয়ার গুলোকে খুঁজে একটা ন্যাশনাল লেভেল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া। আমাদের নারায়ণগঞ্জে খেলার মাঠের সংকট ছিলো। আমরা এই ওসমানী স্টেডিয়ামটি ছোট ছিলো এটাকে বড় করেছি। এই মাঠকে একটা পূনাঙ্গ মাঠ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু এটা আমাদের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে করছি, জেলা ক্রীড়া সংস্থারও অর্থায়নও নাই। তাই আমাদের একটু সময় লাগছে। আর এটা না হওয়া পর্যন্ত যাতে খেলাধূলা না থেমে থাকে, সেই জন্য আমাদের সারা বছরের খেলার এমন পরিকল্পনা করে যাই। সকল বাবা-মায়ের কাছে আমাদের অনুরোধ, সন্তানকে মোবাইলে আসক্ত না করে, গ্যাজেটে আসক্ত না করে তাদের যাতে মাঠে নিয়ে আসুন। এতে করে মেধার বিকাশ হবে, শরীর চর্চা হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নারায়ণগঞ্জ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনের ৪র্থ জিতু স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট (অনুর্ধ-১২) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তানভীর আহম্মেদ বলেন, জিতু আমার কাজিন ছিলো, যে ৭ বছর বয়সে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। তাকে স্বরণ করেই মূলত আমরা একটা আয়োজন করার চেষ্টা করি। এখানে আজ অনুর্ধ-১২ বয়সের শিশুদের নিয়ে এখানে টুর্নামেন্ট করা হয়েছে। এখান থেকে বাছাই করে অনুর্ধ-১৪ ও অনুর্ধ-১৬ তে নিয়ে যাবো। আর এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া, এটা আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এছাড়া ফুটবলার তৈরীর ক্ষেত্রে রূট লেভেল থেকে যে অন্বেষনটা থাকে, এটা তারই একটা অংশ হিসেবে কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগীতা আছে, তাই আমরা এই ওসমানী স্টেডিয়াম গুলো তৈরী করছি।
তিনি বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের খেলা ছিলো এখনো আছে। এটা যে কমে গেছে তা কিন্তু না। ক্রিকেট টা যেভাবে হয় তার জন্য হয়তো আমরা সেই উন্মোদনা টা দেখি না। ক্রিকেটে বাংলাদেশের অংশগ্রহন অনেক বেশী থাকে, কিন্তু ফুটবলের তেমনটা নাই। কিন্তু ফুটবল খেলাটা মানুষের প্রাণের খেলা, এটা সদ্য শেষ হওয়া ওয়ার্ডকাপে দেখা গেছে। বিশ্বকাপে আমাদের দেশের অংশগ্রহন নাই, তবুও মানুষের মধ্যে একটা আলাদা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আর্জেন্টিনার খেলা রাত ৩টায় শেষ হয়েছে কিন্তু মানুষের উত্তেজনা কিন্তু ৪টা পর্যন্তও চাষাঢ়া প্রাণ কেন্দ্রতে দেখা গেছে। অন্য একটা দেশের খেলায় যেভাবে মানুষ আনন্দ উপভোগ করেছে, সেখানে যদি আমাদের দেশ খেলতো তাহলে কি পরিমান উত্তেজনা থাকতো। অতএব বিশ্বকাপে জেতে হলে আমাদের ভালো খেলেই জেতে হবে, তারই একটা চেষ্টা হচ্ছে রূট লেভেল থেকে প্লেয়ার তৈরী করা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বাকাপের প্রতিযোগীতা অনেক বেশী, সেই পর্যন্ত পৌঁছাতে হলে আমাদের যে কোচিং দরকার সেটা আসলে আমাদের নেই। বেশ কিছু বছর আগে বাংলাদেশ আর ক্রোয়েশিয়ার রেটিং এক অবস্তানেই ছিলাম, কিন্তু সেই ক্রোয়েশিয়া আজ কোথায় চলে আসছে। যদি কোন প্লেয়ারের সেই খেলার প্রতিভা থাকে তাদের ছোট বেলা থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এটার একটা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগুলো নজরে দিচ্ছেন, হয়তো আমরা খুব শীঘ্রই এগুলো কাটিয়ে উঠবো।
এই খেলার আয়োজনে সহযোগীতা করেছেনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগহঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আতাউর রহমান মিলন, ফিরোজ মাহমুদ সামা, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফুটবল একাডেমির কোচ খলিলুর রহমান দোলন, সুজনসহ আরও অনেকে।