৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের এসও এলাকার এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম দুপুর ১ টায় ওই কারখানার শ্রমিক নেতা ফয়সালকে পানি পাণ করিয়ে অনশন ভঙ্গ করিয়েছেন।
অনশন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিক মোঃ ফয়সাল সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, এম এ শাহীন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফ, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জেলা কমিটির সভাপতি গাজী মোঃ নুরে আলম, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম মন্জু, প্যারাডাইস কেবল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম, মুনলাক্স এ্যাপারেলসের শ্রমিক নেতা নুর নবী, এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের শ্রমিক শান্ত ও অরুনা বেগম।
অনশন চলাকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শ্রমিকরা যেই টাকা মজুরি পায় সেই টাকা দিয়ে তাঁদের পরিবার স্বজন নিয়ে বেঁচে থাকা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। নিদারুণ সংকটে মানবতর জীবন-যাপন করছে। আধ পেটা খেয়ে না খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের এস এস ক্রিয়েটিভ স্টিজ গার্মেন্টসের মালিক শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে কারখানা গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে কারখানার দেড় শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী না খেয়ে মরতে বসেছে। বাড়িওয়ালার ঘর ভাড়া ও মুদি দোকানির বাঁকী টাকার জন্য অপমান অপদস্ত হতে হচ্ছে। কোন কোন শ্রমিককে বাড়ির মালিক ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সংকট নিরসনে রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিল্প পুলিশ, বিকেএমইএ ও জেলা প্রশাসককে লিখিত ভাবে অবহিত করেও কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। সকলেই বলছে বেতন আদায়ের চেষ্টা চলছে কিন্তু কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। শ্রমিকদের পেটে ভাত নেই তাই অসহায় শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে অনশনে বসেছে। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংকট নিরসনে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদয়ের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। আগামী ৩ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় নেতৃবৃন্দ আগামী সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।