বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) এর ৫৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ অফিসের কার্যালয়ের আফজাল হোসেন মিলনায়তনে এই বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আলোচ্যসূচী অনুযায়ী ৩০ জুন ২০২০ এবং ৩০ শে জুন ২০২১ সালের নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট সর্বসম্মত্তিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং ২০২১-২০২২ এর কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন পঠিত হয় এবং সর্বসম্মত্তিতে গৃহিত হয়।
বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান এফ এম সাইফুজ্জামান, কার্যকরি কমিটির সদস্য শেখ কওসার আলী, লিয়াকত হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, শহীদ হোসেন দুলাল, নূরুল হোসেন, এস এম হাফিজুর রহমান ও শেখ দাউদ হায়দার প্রমুখ।
সভায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও দৌলতপুর অঞ্চলের বিশিষ্ট কাঁচাপাট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে পাটের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সাধারণ সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ সৈয়দ আলী বলেন, কিছুদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যনীতিতে শর্তসাপেক্ষ কাঁচাপাট বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কারণে পাট ব্যবসায়ীগণ কাঁচাপাট রপ্তানিতে বিড়ম্বনার শিকার হন। বিষয়টি কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছিল না। এটা পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছিল।
তিনি আরও বলেন, এটা বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান সহ কার্যকরি কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে পাট ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে সার্বিকভাবে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের বানিজ্য নীতি হতে কাঁচাপাট বিষয়টি সম্পূর্নভাবে অব্যহতি দেওয়া হয়। আর এই অব্যাহতির মাধ্যমে বর্তমানে কাঁচাপাট রপ্তানি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
সাধরাণ সভায় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের পাটনীতিতে কাঁচাপাট রপ্তানি অন্তর্ভুক্ত করার কারণে কাঁচাপাট ব্যবসায়ীরা যে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কার্যকরি সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে বিষয়টির সার্বিক সমস্যার সমাধান করা হয়।
ফলে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ইপিবির অফিস হওয়ার কারনে নারায়নগঞ্জের কাঁচাপাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকগন রপ্তানীতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এখান থেকেই অনুমতি পত্র নিয়ে তারা রপ্তানি করতে পারছে।