নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, বিএনপি সমাবেশের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ওরা যা ইচ্ছা তাই করবে, বলবে, এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার পর জিয়াউর রহমান তাকে তার বাড়িতে ঢুকতে দেননি।
খালেদা জিয়া অসুস্থ তাই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজও রাজশাহীতে দুটি চেয়ার খালি টিভিতে দেখলাম।
তারা নাকি ১০ তারিখ দেশ চালাবে। তারেক জিয়া বিশ্বচোর, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দিয়ে দেশ চালাতে চাচ্ছে। আরেক দিকে এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া। চোর ও খুনিদের দিয়ে তারা দেশ চালাতে চাচ্ছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এদের দিয়ে আপনারা অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্র চালাতে চান, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন খোকন সাহা।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। আজ আমাদের আনন্দ-উৎসব করার কথা। অথচ খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে আমাদের রাজপথে নামতে হলো। তারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল, আজ তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল অথচ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। ওদের হাতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারেক জিয়ার নির্দেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল দাবি করে খোকন সাহা বলেন, আজ ওরাই গণতন্ত্রের কথা বলে। ওদের কাজে তো গণতন্ত্রের প্রকাশ পায় না। কাদের সঙ্গে গণতন্ত্র চর্চা করব। ওদের মুখে গণতন্ত্রের চর্চার কথা মানায় না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। গত সাতদিন ধরে আমাদের মন্ত্রীরা চাল, তেল সংগ্রহ করতে নানা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছে। একমাত্র শেখ হাসিনা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১০ তারিখ যদি ওরা কোনো নৈরাজ্য করতে চায়, আজ থেকে প্রস্তুতি নেন। আমাদের নির্দেশের অপেক্ষা করবেন না। প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। তারা নির্বাচনে আসতে চান না। তারা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা।
খোকন সাহা বলেন, বিএনপি বলে রিজার্ভ কোথায়। কোথা থেকে রিজার্ভ থাকবে। শেখ হাসিনা মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দিয়েছেন, চিকিৎসা দিয়েছেন। আজ উন্নয়নের কথা কী বলব। নাসিম ওসমান সেতু হয়েছে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের বাবা ছিল রাজাকার। সেই রাজাকারের সন্তানরা আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় না। কারণ এখানে ১৯৭১ সালে ওরা আত্মসমর্পণ করেছিল। তারা ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন দেখছেন। আপনারা তো সবকিছু শেষ করে দিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. এহসানুল হাসান নিপু, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ প্রমুখ