নারায়ণগঞ্জের খানপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল গেটে, হাসপাতালের ভেতরে এবং ডাক্তারদের চেম্বারের আশে পাশে সর্বক্ষন দালালদের ঘোরাফেরা। দালালরা রোগীদের প্রতি এমন সতর্ক ও পরামর্শ বাণী দিয়ে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোগী আসামাত্রই বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার গতিপথ রোধ করেন। প্রতিদিন রোগীরা এভাবে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের কাছে থেকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দালালদের কারণে। ভুলিয়ে-ভালিয়ে নানা অপকৌশলে নিজেদের ক্লিনিকে নিয়ে যান।এতে গরিব-নিরীহ রোগীরা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
জামতলা এলাকার ইউনুস মিয়া জানান,গত কয়েক দিন আগে আমার স্ত্রীকে নিয়া সরকারি হাসপাতালে একজন মহিলা ডাক্তারের কাছে যাইতেছিলাম। ‘গেইটের ভেতর ঢোকার পরই দুই-তিনজন লোক আইসা আমাগো কম খরচায় ভালো ডাক্তার দেখানোর কথা কইয়া কৌশলে পাশের একটি প্যাথলজিতে নিয়া যায়। হেনো বেশি টেয়া দিয়া চিকিৎসা করাই। টেষ্টও করান লাগে। পরে বুঝজি আমাগো ঠকানো অইছে।’
সংশিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানাযায়, বিভিন্ন হাসপাতালের অফিস চলাকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী এলে রোগীদের নিয়ে দালালদের মধ্যে টানাটানি লেগে যায়। অশিক্ষিত, গরিব রোগীরা প্রায় প্রতিদিন দালাল ও প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়ে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা মূল্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দালাল ও প্রতারক চক্রের সঙ্গে কমপ্লেক্সে কোনো কোনো চিকিৎসকও জড়িত আছেন এটা দুঃখজনক। এসব দালাল ও প্রতারক সেন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ও অপতৎপরতা বন্ধে আমাদের আর সচেতন হতে হবে সচেতন ব্যক্তি হিসেবে সাধারণ মানুষদের প্রতারকদের থেকে সাবধান করা একজন সচেতন মানুষের কর্তব্য।
এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা এই দালাল সেন্ডিকেট ও প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধ করে সাধারণ জনগনকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে সাহায্য করবে এমনটিই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।