পুরো শহরজুড়ে বৈধ রিকশার পাশাপাশি অবৈধ রিকশার দাপট। শহরে চলাচল নিষিদ্ধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা আর মিশুক পুরো সড়ক দখল করে নিয়েছে। এসব অবৈধ যান বাহনের কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সড়কের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা পুরোপুরি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। অবৈধ ইজিবাইক, মিশুক আর ব্যাটারি চালিত রিকশার সঙ্গে পেরে উঠতে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ভুক্তভোগীদের মতে, নগরীকে যানজট মুক্ত রাখতে হলে শহরে ইজিবাইক, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় যানজটের কারণে এ শহর অচল হয়ে যাবে। সরেজমিন চাষাঢ়া মোড়ে দেখা গেছে ইজিবাইক,মিশুক আর ব্যাটারি রিকশা জটলা। জিয়াহল কিংবা খাজা সুপার মার্কেটের সামনে এসব অবৈধ যান দাঁড় করে রেখে যাত্রী ওঠা নামা করছে। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষ তরতে দেখা গেছে অনেককে। শুরু এখানেই নয়, ২নং রেলগেট, কালিরবাজার মোড়, চারাগোপ, ১নং রেলগেট এলাকাগুলো এখন অঘোষিত অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
সারাদিনে কমপক্ষে শতাধিক ইজিবাইক বা মিশুক আটক করা হলেও কমপক্ষে ১০/১৫টি মিশুক থেকে আদায় করা জরিমানা বাবদ টাকার রশিদ দেয়া হয়না বলেও অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ জ্যাম মিশুক ও ইজিবাইকের কারনেই হয়ে থাকে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
মিশুকগুলোকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আটকের জন্য ২০/২৫ জন কিশোরকে মৌখিক নিয়োগ দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। যে যতো বেশি মিশুক আটক করতে পারে সে ততোবেশি টাকা পায় বলেও অভিযোগ রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। তারা শহরের মিশুকগুলা আটক না করে গলাচিপা,উত্তর চাষাঢ়া,মাসদাইর,কলেজ রোড, আমলাপাড়া,২নং গেইট এলাকার ভিতর থেকে মিশুক আটক করে রেকারে ধরে নিয়ে আসে।
প্রতিদিন ২০/৩০টি মিশুক থেকে রেকার বিলের টাকা নেয়া হলেও সেই টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। রেকার বিলের রশিদ যে সমস্ত মিশুক চালকদের দেয়া হয়না ঐ টাকাগুলো ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং যে সমস্ত সিভিল লোকজনদের দিয়ে মিশুক আটক করানো হয় তাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারারাও অভিযোগ।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায়,ট্রাফিক পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দিলেও সাধারন মিশুক চালকদের গাড়ি আটক করে রেকার বিল আদায় করছে।এতে মিশুক চালকরা ক্ষোভে সবাই স্টিকার লাগানোর পিছনে দৌড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী চালকদের দাবী ট্রাফিক পুলিশ হাসান,বাশার,শহিদুল,শফিকুলসহ তাদের দালালেরা স্টিকার লাগানো গাড়ির চালকদের ছেড়ে দিচ্ছে অথচ সাধারন মিশুক ও অটো চালকদের মারধর করে গাড়ি জোর করে নিয়ে রেকার বিল করেন৷