দেওভোগ পাল পাড়া মোড়ে অলিভ আহাম্মেদ অভির উপর সন্ত্রাসী হামলা, সদর থানায় এম এইচ মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
শনিবার ( ০৫ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ০৬ টায় শহরের দেওভোগ পাল পাড়া মোড়ে জনি ভূইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অলিভ আহাম্মেদ অভির উপর সম্পত্তি আত্মসাৎ জেরে সন্ত্রাসী হামলা চালায় দেওভোগ পশ্চিম পাড়া, বড় মসজিদ গলি বাসিন্দা মৃত হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে এম এইচ মুন্না সহ অজ্ঞাত ৪০- ৫০ জন।
অভিযোগ সুত্রে বলা হয়ঃ আমি অলিভ আহাম্মেদ অভি (৩৬) পিতা মোঃ ইলিয়াস আহাম্মেদ ৬৫ সাং ২৫৭ নং শাহ সুজা রোড, পাইকপাড়া,থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ এই মর্মে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হাজির হইয়া জানাইতেছি যে,
বিবাদী ১। এম এইচ মুন্না (৫০) পিতা মৃত হাবিবুর রহমান হাবিব থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ ২। শাওন (২২) পিতা অজ্ঞাত থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ। উভয় সাং দেওভেগ পশ্চিম পাড়া, দেওভোগ বড় জামে মসজিদ গলি।
বিবাদী আমার বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎ পায়তারায় আমার ছোট বোনকে সংসার করার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। বিবাদী একজন বিবাহিত পুরুষ যার ঘড়ে ১৪ বছরের একজন সন্তান আছে। বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর বিবাদী কে আমার বাড়িতে আসতে মানা করি, আমাদের কারো সাথে যেন যোগাযোগ না করতে বিবাদীকে বলা হয়। ঠিক এর পর থেকে আমি এবং আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
গত ১৫/১০/২০২১ ইং দেওভোগ লেক পাড় চাচার বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিবাদী ৭-৮ লোক নিয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়ে গত ১৭/১০/২০২১ ইং তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যাহার জিডি নং ৮০৯ তাং ১৭/১০/২০২১ ইং।
পরবর্তীতে বিবাদী বিভিন্ন কৌশল করে আমার বোনকে বিবাহ করে। আমার পিতা শারীরিকভাবে প্রচন্ড অসুস্থ, এই সুবাদে বিবাদী আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে আমার পিতা মাতাকে ভুলভাল বুঝিয়ে সম্পত্তি নিজের কব্জায় নেওয়ার জন্য সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে নিতে চাইছে। এ বিষয়ে আমি বাধা হয়ে দাড়িয়েছি বলে।
আজ ০৫/১১/২০২২ ইং সন্ধা ৬ঃ০০ টায় দেওভোগ পাল পাড়া মোড়ে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় উপরোক্ত বিবাদী দ্বয় সহ অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনের কিশোর গ্যাং কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার উপর এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি। বিবাদীগণ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেরে আসলে আমার আর্তচিৎকারে আশ পাশের মানুষ জরো হওয়া আমি প্রানে বেঁচে যাই। মারধরের সময় বিবাদীগণ আমার সাথে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা, স্বর্নের ব্রেইস লেইট, আংটি যাহা ৩ ভরি ওজনের বর্তমান বাজার দাম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আশ পাশের লোকজনের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করি।
এমতাবস্থায় আমার জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনা করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করিলাম।