যত্রতত্র এসব যানবাহন অঘোষিত স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম মোড় চাষাঢ়ায় প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট। শুরুতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হওয়ায় এসব যান জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও পরে দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তা সুবিধার পরিবর্তে জনজীবনে মহাভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়নগঞ্জের পাড়া-মহল্লা অলি-গলিতে এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। এসব যানকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও লাইসেন্স না থাকায় কথিত কিছু সাংবাদিকের নামে হরহামেশেই চলাচল করছে এসব যানবাহন।
ভুক্তভোগী এক মিশুক চালক জানান,ট্রাফিক পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি ছেড়ে দিলেও তাদের কে ট্রাফিক পুলিশের কিছু সোর্স মারধর সহ অতিরিক্ত রেকার বিল আদায় গ্রহন করে থাকেন৷
সুশীল সমাজের দাবী,রেকারে যদি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়ে থাকে তাহলে এই মারধর সহ দালাল চক্রের অন্যান্য সদস্য সহ সকল অপকর্মই ধরা খাবে এবং ট্রাফিক বিভাগের এসপি স্যার স্বচোক্ষে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবে।
নারায়ণগঞ্জবাসী জানান,নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি গ্যারেজে চোরাই বিদুৎ ব্যবহার করে চার্জ দিচ্ছে অবৈধ অটো ও মিশুক যার ফলে নারায়নগঞ্জে দেখা দিচ্ছে অসংখ্যবার লোড শেডিং। এইসকল গ্যারেজের উপর যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জ অনেকটাই লোডশেডিং মুক্ত হবে।
নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক পুলিশ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবৈধ মিশুক ও অটো রিক্সা আটক করলেও বিকাল থেকে রাত অবধি তাদের কে আর গাড়ি আটক করতে দেখা যায়না।