যত্রতত্র এসব যানবাহন অঘোষিত স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী পরিবহন করায় নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম মোড় চাষাঢ়ায় প্রতিনিয়ত লেগে থাকে যানজট। শুরুতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হওয়ায় এসব যান জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও পরে দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তা সুবিধার পরিবর্তে জনজীবনে মহাভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়নগঞ্জের পাড়া-মহল্লা অলি-গলিতে এসব যানের বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ভোগ-দুর্ঘটনা। এসব যানকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও লাইসেন্স না থাকায় কথিত কিছু সাংবাদিকের নামে হরহামেশেই চলাচল করছে এসব যানবাহন।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, পুরো শহরজুড়ে বৈধ রিকশার পাশাপাশি অবৈধ রিকশার দাপট। শহরে চলাচল নিষিদ্ধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা আর মিশুক পুরো সড়ক দখল করে নিয়েছে। এসব অবৈধ যান বাহনের কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সড়কের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা পুরোপুরি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। অবৈধ ইজিবাইক, মিশুক আর ব্যাটারি চালিত রিকশার সঙ্গে পেরে উঠতে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রধান সড়কগুলোর দুই পাশ দখল করে এসব অটো-মিশুক পার্ক করে রাখেন চালকেরা।
কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই এ চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় ট্রাফিক পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলেই ছেড়ে দিচ্ছে কিন্ত ধরে নিয়ে যাচ্ছে স্টিকার ছাড়া গাড়িগুলো।এতে রিক্সা চালক ও মিশুক চালকরা স্টিকার কিনার পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছে।