নারায়নগঞ্জের কয়েকটি স্পটে অবাধে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়া খেলার পাশাপাশি চলছে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা। বড় শাহজাহানের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মাসের পর মাস এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এতে প্রতিদিন হাত বদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা আইনশৃঙ্খলা সভায় ব্যাপক আলোচনা হলেও অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে। প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকেই। এই জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে চলে সমাল তালে নেশা গ্রহণ ও মাদক কারবার। জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
শহরের ১নং মাছ ঘাট,দেওভোগ,জিমখানা,কালিরবাজার,ভুইঘর এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে শাহজাহানের জমজমাট জুয়ার আসর। স্থানীয় কিছু নামধারী রাজনৈতিক নেতার এবং অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় চলে এই জুয়া খেলা।
বর্তমানে কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া এলাকায় পেয়ারা বাগান সংলগ্ন পুলিশের কথিত সোর্স আরমানের অফিসে প্রতিনিয়ত বসছে শাহজাহানের জমজমাট জুয়ার আসর।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জুয়ারিদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নতুন নতুন স্থানে জুয়ার আসর বসাচ্ছে পেছনের কারিগররা। কোন কোন দিন কারও ফ্ল্যাট বাসা কিংবা আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া নিয়ে চলছে জুয়া। আবার ভাসমানভাবে রেলস্টেশন, লঞ্চঘাটের পাশে ফাঁকা জায়গায় পাটি পেতে জুয়া চালাচ্ছে আয়োজকরা।