বন্দরে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের আয়োজনে (২০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা।
আগামী ১-৫ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব স্বারদীয় দূর্গোউৎব উপলক্ষে বন্দর উপজেলায় পূজা উদযাপন কমিটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গুনীব্যাক্তিবর্গের সঙ্গে আয়োজিত এ প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি তথা বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এমএ রশিদ।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার জনগনের সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আসছে পূজা যেন শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য বাংলাদেশ সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
তিনি বলেন,
কোন প্রকার ইভটিজিং, কিশোরগং বা কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা বরদাস্থ করবেনা, পূজা মন্ডপের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রতিটি পূজা মন্ডবে সিসি ক্যামেরা লাগাবেন। সর্ব সময় পর্যবেক্ষণ করবেন যাহাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে। সরকারের পক্ষে একা এতো বড় আয়োজন সামাল দেওয়া সম্ভব নয় যদি আপনাদের সহযোগিতা না থাকে। খেয়াল রাখবেন আযান ও নামাজের সময় একটু বিরত রাখলে অন্য কেউ কোন মন্তব্য করতে পারবেনা। বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্য ভালো মনের পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক রাখবেন। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকেও প্রশাসনীক সকল সাহায্য ও সহযোগিতা পাবেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা, বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র আবদুল্লাহ, পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম, পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষে বন্দর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন দাস, সুজন দাস, যুব ঐক্য পরিষদ’র বন্দর থানা সভাপতি তুলসী ঘোষ সহ পূজা উদযাপন কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।