নারায়ণগঞ্জের পবিত্র জুমার দিনে নগরীজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশকে।
এদিন নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে, মসজিদগুলোর বাইরে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
এছাড়া সকাল থেকেই নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোল চত্বরে দেখা গেছে পুলিশের জলকামান ও সাজোয়া যান প্রস্তুত থাকতে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া, নূর মসজিদ এলাকা ও ডিআইটি মসজিদ এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়াও নগরীতে ছিল পুলিশের সতর্ক টহল। তবে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের শীর্ষ কেউ কোনো কথা বলতে চাননি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, এটি নিয়মিত নিরাপত্তার অংশ। আমরা নগরবাসীর নিরাপত্তায় সবসময় প্রস্তুত।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ গুলি ছুড়লে যুবদল কর্মী শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বিএনপির দাবি, পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে উত্যপ্ত হয়ে ওঠে নগরী। পুলিশ বাদী হয়ে এ ঘটনায় বিএনপির ৫ হাজার নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে ও ৭১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
জেলা পুলিশের একটি সুত্র জানায়, শুক্রবার জুমার দিনকে কেন্দ্র করে শাওন হত্যার বিচারের দাবিতে নগরীতে মিছিল সমাবেশ বা কোনো ধরনের আন্দোলন বা সমস্যা যেন আর না হয় সেজন্য এ বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করতে পারে ইসলামী দল। সেদিক বিবেচনা করেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।