ফতুল্লায় সাতার কেটে ধলেশ্বরী নদী পাড়ি দিতে গিয়ে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ২৫ ঘন্টা পর নিখোজ মাহফুজা রহমানের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে নৌ ফাঁড়ি পুলিশ। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ডিগ্রিচর এলাকাস্থ ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুর বারোটার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকার নদীর পশ্চিম তীর ৎেকে সাতরিয়ে পূর্ব তীরে আসার সময় পানির নিচে ডুবে যায় মাহাফুজুর রহমান।
নিখোঁজ মাহফুজা রহমান জয়পুর হাট জেলার সদর থানার আমদই গ্রামের শফিউল ইসলামের পুত্র। সে ফতুল্লার বিসিকস্থ এন আর গ্রুপের একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করতো এবং ভোলাইল মিস্টির দোকানস্থ একটি ম্যাচ বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতো।
এ ঘটনায় নিখোঁজের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ শাকিব আহম্মেদ বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
জানা যায়,শুক্রবার গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় সহকর্মীদের সাথে তারা দলবেধে নদীর ওপার বক্তাবলী এলকায় ক্রিকেট খেলতে যায়। বেলা ১২ টার দিকে ক্রিকেট খেলা শেষ হলে সে তার বন্ধু রিয়াজ উদ্দিন কে নিয়ে সাতার কেটে নদী পাড় হতে চেয়েছিলো।
সহোযোগি রিয়াজ সাতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও মাহাফুজার রহমান কে তীরে উঠে দেখতে পায়নি। দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে মাহাফুজা রহমান কে না পেয়ে সহকর্মীরা জরুরী সেবা-৯৯৯ এ ফোন করে। তখন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ও বক্তাবলী নৌ ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিকেল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোঁজ করে ও নিখোঁজের সন্ধান পায়নি।
বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাড়ির উপ- পরিদর্শক বাদল জানায়, দুপুরের দিকে তারা দুই বন্ধু মিলে ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীর থেকে পূর্বে নদী পারি দেওয়ার সময় এক বন্ধু তীরে উঠতে সক্ষম হয় কিন্ত মাহফুজা রহমান নদীর পানীর নিচে ডুবে যায়।
সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত নিখোঁজের সন্ধান চালিয়ে খোজঁ না পেয়ে সেদিনের মতো সন্ধান কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ডিগ্রিচর এলাকায় লাশ ভেসে উঠলে কোস্টগার্ডের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
নিখোজের চাচাতো ভাই শাকিব আহম্মেদ জানায়, নিখোঁজ মাহাফুজার রহমান ছয় মাস পূর্বে বিয়ে করে। তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ী জয়পুর হাটে থাকে। সে চার মাস পূর্বে ফতুল্লার বিসিকে এসে চাকুরি নেয়। এর আগে সে গাজিপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতো।