নারায়ণগঞ্জ জেলার নবাগত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেছেন, আমরা নারায়ণগঞ্জে রি-এ্যাকটিভ নাহ, প্রো-এ্যাকটিভ পুলিশিং করতে চাই। একটা দূর্ঘটনা ঘটার পর ব্যবস্থা নেওয়াকে রি-এ্যাকটিভ পুলিশিং বলে। আর কোন ঘটনা যেন না ঘটতে পারে এজন্য পূর্বে এ্যাকটিভ থাকা হলো প্রোএ্যাকটিভ পুলিশিং। প্রো-এ্যাকটিভ পুলিশিং যেন করতে পারি, সে লক্ষ নিয়ে কাজ করব। প্রো-এ্যাকটিভ পুলিশিং ব্যবস্থায় নারায়ণগঞ্জে অনেক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সমাজে অপরাধের পিছনে অন্যতম কারণ মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। তবে এটাও ঠিক আমরা মাদক শতভাগ নির্মূল করতে পারিনি। মাদক নির্মূলে যেসব কাজ করা দরকার সেগুলো আমরা করব। মাদক মুক্ত সমাজ করা আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য। দ্বিতীয়টি হলো কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ। কিশোর অপরাধ সমাজে নৈতিকতাকে নষ্ট করছে। পুলিশের একার পক্ষে এই অপরাধ শতভাগ নির্মূল করা সম্ভব নয়। সচেতন মানুষ সকলে একযোগে কাজ করলে কিশোর গ্যাং এর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কিংবা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পুলিশ সুপার বলেন, কিশোর অপরাধ এর সাথে মোটরসাইকেলের একটা সম্পর্ক আছে। কিছুদিনের মধ্যে মাদক ও মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অপারেশন হবে। যেসব মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন নেই, কাগজপত্র আছে তারা রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলেন। কিন্তু যাদের কোনটি-ই নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হয়তোবা আমি অপারেশনে যাবো।