নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘুমন্ত গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী সামসুল হক বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে।
রোববার (২১ আগস্ট) সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন-মো. আমজাদ হোসেন, মো. বায়েজিদ, মোশারফ ও মো. খালেক মিয়া। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেনকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী রূপগঞ্জের গাউছিয়া এনডেট কোম্পানিতে তাতের কাজ করে। গত ৬ আগস্ট রাত্রীকালীন ডিউটি করার উদ্দেশ্যে সে গাউছিয়া চলে যায়। সে কাজ শেষ করে রাতে ফিরে আসবে মনে করে তার স্ত্রী রুমের দরজা খোলা রেখে তার বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে অভিযুক্ত আমজাদ ঘরের ভেতর ঢুকে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণেরর চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার স্ত্রী ডাক-চিৎকার করলে পাশের রুম থেকে তার মা দরজা ধাক্কাতে থাকে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত আমজাদ তার স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে রুমের দরজা খুলে গৃহবধূর শাশুড়িকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় শাশুড়ি আমজাদকে দেখে চিনতে পারে। এ বিষয়ে তার স্ত্রী থেকে বিস্তারিত শুনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে শালিস দাবি করেন। স্থানীয়রা শালিস না করায় দীর্ঘদিন পর সোনারগাঁ থানায় গতকাল রোববার সকালে অভিযোগ দায়ের করেন।
গৃহবধূর স্বামী সামসুল হক বলেন, গ্রাম্য শালিসকারীরা কাছে বিচারের আশ্বাস দিলেও তারা বিচার না করে আমজাদের পক্ষ নিয়ে সহযোগিতা করে আসছিল। অভিযুক্তরা তাকে ও তার স্ত্রীকে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়ে সহযোগিতা করে।
এ বিষয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টায় প্রধান আসামিকে আমরা গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছি। আজ সোমবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।