ফতুল্লায় চানমারী নতুন কোর্ট সংলগ্ন পুলিশের হস্তক্ষেপে সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া ফাতেমা আক্তার শোভা নামক এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করায় অভিভাবকদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জানা যায়, ফতুল্লা চানমারী নতুন কোর্ট এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে ইসদাইর রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া ফাতেমা আক্তার শোভার সাথে তল্লা সবুজবাগ এলাকার আব্দুল মালেকের পুত্র আমিরুলের ইসলামের সাথে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিয়ের দিন ধার্য ছিলো ।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বিষটি জানতে পেরে বাল্যবিবাহ বন্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবগত করে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষটি থানা পুলিশ জানায়। পুলিশ সত্যতা পেয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, স্কুল ছাত্রীটি ফতুল্লা ইসদাইর রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ছিলো তার বিবাহের দিন ধার্য ছিলো। স্কুলটির এক শিক্ষক বাল্য বিবাহ বন্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে লিখিত ভাবে বিষয়টি অবগত করে।
নিবাহী কর্মকর্তা তাকে বিষয়টি অবগত করলে সে পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে নিশ্চিত হয় যে যে অপ্রাপ্ত এক কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কিশোরীর জন্ম সনদ পত্র বা জন্ম নিবন্ধন যাচাই- বাছাই করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রমাণিত হওয়ায় অভিভাবকদের ডেকে এনে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে বলা হয়।
আর তা না হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানালে পরিবারের সদস্যরা বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হন।