বন্দরে নিখোঁজ জিডি সূত্র ধরে বন্দর থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ মিশুক চালক তাহসান হত্যার সন্দেহে ৪ ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) রাতে বন্দর উপজেলার তমদরদী ও বালুচর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারিরা হলো বন্দর উপজেলার তমদরদী এলাকার মৃত আনসার মিয়ার ছেলে মাছুম (২৬) একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৩২) বালুচর এলাকার আহাম্মদ মিয়ার ছেলে জিয়াবল (৩৫) ও মিরকুন্ডী এলাকার বিল্লাল হোসেন মিয়ার ছেলে হান্নান (২৮)। এর আগে গত ৬ আগষ্ট বিকেল ৫টায় ওই মিশুক চালক বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা এলাকা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ মিশুক চালকের পিতা বাবুল হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ ছিনতাইকারিকে আসামী করে অপহরণ পূর্বক দস্যূতা অপরাধে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৭(৮)২২ ধারা- ৩৬৫/৩৯৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামীকে বুধবার দুপুরে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে শিশুক চালক তাহসান (১৪) জিবিকার তাগিদে প্রতিদিনের মত গত ৬ আগষ্ট বিকেল ৫টায় মিশুক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় নিখোঁজ মিশুক চালকের পিতা বাবুল হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করেন যার জিডি নং- ৩১৪। এদিকে নিখোঁজ জিডি তদন্তকারী কর্মকর্তার মদনগঞ্জ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক সিহাব নিখোঁজ জিডিটি নিবিড় ভাবে তদন্তের পর গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তমদরদী ও বালুচর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৪ ছিনতাইকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, মিশুক চালক তাহসান অপহরনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিখোঁজ অটো চালকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার এসআই সিহাব গ্রেপ্তারকৃত ৪ ছিনতাইকারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।