বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোনারগাঁয়ের এক মধ্যবয়সী নারীকে ধর্ষনের মামলায় লম্পট প্রবাস ফেরৎ হৃদয় (৩২ কে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে শহরের পুরান গোগনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক হৃদয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুরান গোগনগর এলাকার মোঃ ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক হৃদয়কে বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে। যার মামলা নং- ৪৭(৭)২২।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,নারায়ণগঞ্জ সদর থানার গোগনগর এলাকার ইদ্রিস আলী মিয়ার লম্পট ছেলে হৃদয় ওমানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে পরিচয় হয় সোনারগাঁয়ের ভুক্তভোগী ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর সাথে। এক পর্যায়ে প্রেম ভালোবাসার সর্ম্পক হয় তাদের মাঝে। গত ২০ জানুয়ারী হৃদয় দেশে আসে। এরপর সেই নারীকে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যান। মদনপুরের সাইরা গার্ডেনে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ওই নারী বিয়ের কথা বললে সে নানা তাল বাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। সর্বশেষ ৩১মে ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে প্রবাসী যুবক হৃদয় মদনপুর ষ্ট্যান্ডে আসতে বললে বিয়ের কাজী আসবে বলে পূণরায় মদনপুর সাইরা গার্ডেনে আবাসিক হোটেলে নিয়া যায়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া আবারো শারিরীকভাবে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত হৃদয়ের বাড়িতে যান ভুক্তভোগী নারী। তার ভাই ও মাকে সবকিছু জানালে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারী গত ২৫ জুলাই রাতে বাদী হয়ে প্রবাস ফেরৎ হৃদয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষন মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক প্রবাস ফেরৎ হৃদয়কে শহরের গোগনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে ওই মামলায় বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।