সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ০৪ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি বাদশাহ’কে পঞ্চগড় জেলার বোদা থানাধীন কাজলদিঘী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
ভুক্তভোগীসহ তার পিতা-মাতা আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর কাঠাঁল বাগান এলাকার একটি বাসায় ভাড়টিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গ্রেফতারকৃত আসামী একজন রিক্সা চালক ও একই বাড়ীর ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গত ২৮ মার্চ বেলা অনুমান সাড়ে ১১টার সময় শিশু ভিকটিম (০৪) বাসা হতে বের হয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আসামী মোঃ বাদশাহ (৪৩) ভুক্তভোগীকে চিপস/চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তার নিজ ঘরের ভিতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি পাশের রুমের ভাড়াটিয়া দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগীর মা’কে জানালে তাৎক্ষনিক ভুক্তভোগীর মা আসামীর রুমের দরজায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করার পর দরজা খুলে। তখন ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য ঘরে প্রবেশ করলে তৎক্ষণাৎ আসামী বাদশাহ ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত ঘটনার পরে গত ২৯ মার্চ মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস্ মিডিয়াসহ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় জানা যায় আসামি মোঃ বাদশাহ (৪৩) পঞ্চগড় জেলার বোদা থানাধীন কাজলদিঘী এলাকায় অবস্থান করছেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাত দেড় টার সময় এমন সংবাদের ভিত্তিতে, র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-১৩ এর সহায়তায় পঞ্চগড় জেলার বোদা থানাধীন কাজলদিঘী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষন মামলার পলাতক আসামী মোঃ বাদশাহ (৪৩), জেলা-নওগাঁ’কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী বাদশাহ উক্ত দিনে ভুক্তভোগীকে চিপস্/চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে সে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।