সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মরহুম মাসুম আহমেদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের ডিএন রোডে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিরে দেখা ১৯৭৫ নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক এস. এম পারভেজের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দুলাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওয়াজেদ আলি খোকন, দপ্তর সম্পাদক বিদুৎ সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু প্রমুখ।
স্মরণ সভায় এড. খোকন সাহা বলেন, মাসুম সম্পাদক পদ প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু মাসুমই সদস্য পদ চেয়ে নিয়েছে। এই পদে থেকেই মৃত্যুর পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে কাজ করেছে। যতদিন মিটিং হয়েছে, আমার মনে হয় না, মাসুমকে অনুপস্থিত হিসেবে পেয়েছি। কেউ যদি মনে করে, মাসুমের পরিবারের পাশে কেউ নাই। তাহলে মস্ত বড় ভুল করবেন। কারণ মাসুমের পরিবারের পাশে সাড়া নারায়ণগঞ্জের মানুষ আছে, আমরা আছি।
খোকন সাহা আরও বলেন, এই সভাটা আমার জন্য খুব বেধনা দায়ক। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মাসুম নাই, না ফেরার দেশে চলে গেছে, এটা আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না।৩ ফেব্রুয়ারি যখন শুনলাম মাসুম হাসপাতালে গেছে, তখনও বুঝিনি মাসুম চলে যাবে। যখন খবর আসলো, বিশ্বাস করতে পারিনি। রাত্রে লাশ আসলো, দেখে ঘুম হারাম। আমি হিন্দু লাশের মুখটা দেখতে দেয়নি। একটি শিক্ষা নিয়েছিলাম মনে মনে, না আমি চেহারা দেখবো না। সহ্য হবে না। মাসুমের সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল, সে আমাকে মামা ডাকতো। দুর্সময়ে যখন ছিলাম, তখন পাশে মাসুম ছিল।
তিনি আরও বলেন, জোট সরকারের আমলে আমি বাসায় থাকলেই পুলিশ দজায় কড়া নাড়তো, একদিন আমি চলে গেলাম মাসুমের বাসায়। আমার প্রিয় খাবার যা ছিল, সবই রান্না করা হয়েছিল সেদিন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আমাদের এই এলাকায় আমরাই প্রথম মিলাদ করি। মাসুম তখন থেকেই আমাদের সাথে ছিল। মাসুম ছাত্রলীগ করেছে, আমাদের সাথে, আওয়ামী লীগ করেছে, পৌর-আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন, সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী লীগ করেছে সে।
উনার (মাসুম) সাথে আমার সর্ম্পকটা আত্মার সর্ম্পক। এটা বলে শেষ করা যাবে না। মাসুম এই এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠন করে ছিল। আমি এই সংগঠনের উপদেষ্টা, আমি সেই সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে রাখতে চাই মাসুম স্মৃতি সংসদ। মাসুমের যে চিন্তা চেতনা, এই স্মৃতি সংসদের মাধ্যমে আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই।
এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম মাসুম আহমেদের জন্য সকলে দাড়িয়ে ১ মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়।