স্টাফ রিপোর্টার (আশিক): ঢাকা জেলার সাভার এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রশস্ত্রসহ ০২ জন ডাকাতকে পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
সাম্প্রতিক সময়ে সাভার থনাধীন এলাকায় জলদস্যু, ভূমিদস্যু ও ডাকাত দল কর্তৃক সাধারণ মানুষের জীবন নাশের হুমকি প্রদান, ডাকাতির চেষ্টা, চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। একাধিক ভুক্তভোগী নিকট থেকে অভিযোগ এবং এ সংক্রান্তে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রুপ সদস্যদের নাম ও তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে একাধিক ভুক্তভোগীর নিকট হতে ট্রলার ছিনতাইসহ হত্যার হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ প্রাপ্তির পর উক্ত ডাকাত গ্রুপ সম্পর্কে র্যাব-৪ তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গোপনীয় ও স্থানীয় তদন্তে উক্ত ডাকাত দলের কর্মকান্ড ও অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৪ এরকম একটি ডাকাত চক্রের ০৫ জন সদস্যকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) অনুমান রাত সোয়া ১০ টার সময় আকস্মিক সাভার থানাধীন বড় বরদেশী মৌজায় তুরাগ নদীর পাড়ে ডাকাত গ্রুপের সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাত পৌনে ১১টা হতে রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) রাত ১২ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি পিস্তল, ০২ টি কার্তুজ, ০১ টি চাপাতি, ০৬ টি রামদা, ০৩ টি লোহার রড এবং ০২ টি মোবাইলসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রেুপের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার মোঃ বাবু @চায়না বাবু (২৭) ও ঢাকা জেলার মোঃ শাহজাহান (৩৭)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সংঘবদ্ধ দুর্র্ধষ ডাকাত চক্রের সদস্য। আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ ৮-১০ জনের দলবদ্ধ হয়ে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন তুরাগ নদীতে বিভিন্ন ট্রলারে এবং হাউজিং এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্নস্থানে রাতের অন্ধকারে যানবাহনে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার প্রভৃতি ডাকাতি করে আসছিলো। ক্ষেত্রবিশেষে ভূক্তভোগীদেরকে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও জখম করতো। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই এবং মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।