স্টাফ রিপোর্টার (আশিক): করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন সংক্রমন বাড়তে শুরু করায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শহরের খানপুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালে (৩০০ শয্যাবিশিষ্ট) আবারো সহস্রাধিক মাস্ক বিতরণ করেছেন ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে খন্দকার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় করোনা হাসপাতালে মাস্ক বিতরণ করেন কাউন্সিলর শকু। মাস্ক বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা: মোঃ আবুল বাশার।
মাস্ক বিতরণকালে ডা: মোঃ আবুল বাশার বলেন, করোনার নতুন ধরণ অমিক্রণ সংক্রমন ক্রমশই বাড়ছে। বর্তমানে নমুনা দেয়া লোকদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। এজন্য সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পড়ার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহবান জানান তিনি। করোনা হাসপাতালে মাস্ক বিতরণ করায় কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুকে সাধুবাদ জানান তিনি। কাউন্সিলর শকুর মতো অপরাপর জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেন, করোনার সংক্রমন বাড়তে থাকলেও সাধারণ মানুষের ভেতর কোন ভয় নেই। করোনা হাসপাতালের ভেতরেও রোগী, রিক্সাওয়ালা কারও মাস্ক নেই। ওমিক্রনে প্রতিদিন সংক্রমন বাড়ছে। আমাদের সচেতনতার অনেক অভাব। আমরা এখনই সচেতন না হলে এটা প্রতিরোধ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। সকলকে মাস্ক পরতে হবে। কারন এটাই আমাদের করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে। আমি গত ১৮ জানুয়ারী থেকে মাস্ক বিতরণ শুরু করেছি। টানা ১০ দিন ধরে জনসচেতনতা বাড়াতে আমার ওয়ার্ডে মাস্ক বিতরণ করছি। প্রয়োজনে এই কর্মসূচী অব্যাহত রাখবো। তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত দুই বছরে করোনা মহামারি প্রকট আকার ধারণ করলে এগিয়ে আসেন শকু ও তার টিম কুইক রেসপন্স। করোনা আক্রান্তদের সেবা ও মরদেহ দাফনের মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। করোনা হাসপাতালের রোগীদেরও নানা ধরনের সেবা দিয়েছেন কাউন্সিলর শকু।