সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সোমবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্নে ভোলা জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে কে মিথ্যা অভিযোগে আটক এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুর ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের ভোলা জেলার গৌরাঙ্গকে ধর্মীয় অবমাননার স্ট্যাটাস নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইডি হ্যাক করে স্ট্যাটাস দেয়া হলো আর সে ঘটনায় জিডিও করলেন গৌরাঙ্গ চন্দ্র। কিন্তু তারপরও তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হলো কেন? আইন কি শুধু সংখ্যালঘুদের জন্যেই? জিডি যেহেতু করা হয়েছে সে বিষয়টাতো পর্যালোচনাও করতে পারতো প্রশাসন। প্রতিটি দুর্গা পূজার সময় এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘছে। একটা গোষ্ঠী চায় না যে আমরা ভালো।থাকি। সে গোষ্ঠীটি পূজার আগে প্রতিমা ভাঙচুর করে এবং সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়। তারা চায় দেশের ভাবমূর্তি এবং সরকারকে হেয় করতে।
আজকে সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন আমরা আর কত মানববন্ধন করবো? আর কত প্রতিবাদ করবো? আজকে আমাদের পূজা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা অথচ আমাদের মানববন্ধন করতে হচ্ছে। পূজার মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকী। এসময়ের মধ্যে আরও এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে ষড়যন্ত্রকারীরা। তাই আমাদের মঠ মন্দিরে আরও নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি পূজার আগে গৌরাঙ্গ চন্দ্রের মুক্তি এবং এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এ সময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত মন্ডল, বন্দর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ পূজা উদযপান পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, মহানগর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে প্রমুখ।