1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নারায়ণগঞ্জে হকার-ফুটপাত সংঘর্ষে ৯ শামীম সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত সেলিম খন্দকার খোকার মত্যুতে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-এর সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃকর্মীদের সাক্ষাত ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী জেলার ডিবি পুলিশ কর্তৃক ২৪ কেজি গাঁজা ও একটি ট্রাক জব্দ-সহ গ্রেফতার: ৩ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিভাগীয় কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা সকালে নারায়ণশঞ্জ – এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা

নারায়ণগঞ্জে হকার-ফুটপাত সংঘর্ষে ৯ শামীম সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ১৫১ Time View
নারায়ণগঞ্জে হকার-ফুটপাত সংঘর্ষে ৯ শামীম সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড
নারায়ণগঞ্জে হকার-ফুটপাত সংঘর্ষে ৯ শামীম সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড (ছবি সকাল নারায়ানগঞ্জ)

সকাল নারায়নগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে  সংঘর্ষের ঘটনায় শামীম ওসমানসমর্থক ৯ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায়  নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি রেকর্ড হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন, যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, আওয়ামীলীগ নেতা নাছির উদ্দিন ও চঞ্চল মাহমুদ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন মন্ডল  সকাল  নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘আদালতে নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলায় উল্লেখিত ওই ৯ জনের নাম সহ অজ্ঞাত আরো ১ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, জখম, নাশকতা, ভাঙচুর সহ অরাজকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন বিষয়ক কর্মকর্তা জিএম এ সাত্তার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জর একটি আদালতে ওই মামলার আবেদন করেন। ৪ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালত ওই আর্জি গ্রহণ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী বিকেল ৪টায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও অন্যদের সাথে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় পদযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া সায়েম প্লাজার সামনে আসলে বিবাদীরা অত্যাধুনিক পিস্তল, রিভলবার, শর্টগান ও দেশী অস্ত্র নিয়ে চারদিক থেকে হামলা করে। বৃষ্টির মত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। মেয়র সহ সঙ্গে থাকা লোকজনদের হত্যার উদ্দেশ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। হামলায় আইভী সহ ৪৩ জন গুরুতর ও শতাধিক আহত হয়। বিবাদীরা সকলেই এমপি শামীম ওসমানের ইন্ধনে ও প্ররোচনায় উক্ত ঘটনা ঘটায়। তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফুটপাতে হকার বসানোর কথা বলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণেই বিবাদীরা পরিকল্পিতভাবেই মেয়র আইভীর শান্তির মিছিলে ভয়াবহ হামলা করে। কারণ ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে মেয়রের একাধিকবার কথা হয়। এমপি সেলিম ওসমান এ বিষয়ে পত্র দিলে সেটারও জবাব দেওয়া হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী যানজট নিরসন ও জনগনের হাটাচলার জন্য ফুটপাত অবাধ রাখতেই সচেষ্ট ছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু নির্বাচনী এলাকা এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ার পরেও নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার বসবে মর্মে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের লাগাতার ঘোষণা, হুমকি, প্রশ্রয় ছিল বিবাদীদের জন্য উস্কানিমূলক। এ কারণেই বিবাদীরা ওই ঘটনার সাহস পায়।

আদালতে মামলার আবেদনে বলা হয়েছিল, ঘটনার চারদিন পর ২২ জানুয়ারী সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সহ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ এজাহার গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে রুজু করে। পরে জানা যায় মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

কোন প্রকার আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তখন পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সদর মডেল থানা পুলিশও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL