সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমরা ২৮ তারিখে সকাল থেকে ভোট গণনার আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। আমরা ভোট গুনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, যারা এই নির্বাচনে বহিরাগতদের এনে ভোটারদের কুলষিত করতে চায় তারা আইনজীবীদের ভালো চায় না। তারা আইনজীবীদের ভোটকে ভয় পায় বলেই বাইরের লোক এনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। এই নির্বাচনে বহিরাগতদের কোনো স্থান নাই।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের শেষ প্রচারণার দিনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেলের পরিচিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, এই আওয়ামীলীগের ক্ষমতাকালেই ২০১৩ সালে যখন আমি আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলাম। আমাদের বর্তমান প্যানেলের সরকার হুমায়ুন কবির তখন সিনিয়র সহসভাপতি ও এড. জাকির হোসেন সাধারণ সম্পাদক ছিল।
তিনি বলেন, তখন সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে নারায়ণগঞ্জে যখন হত্যা করা হয়েছিল।
তখন আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে প্রকম্পিত করেছিলাম। নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের ঢেউ তুলে ছিলাম। যার কারণে আওয়ামী সরকারের এমপি মন্ত্রীরা সংসদেও তার বিশারদ করেছিলো।
সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, এর পূর্বে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলো, বন্দরের সেই সিনিয়র আইনজীবী মহিউদ্দিন আলতাফ যিনি সাবেক আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য এসএম আকরামের ছোট ভাই, তাকে যখন হত্যা করা হয়েছিল। তখন আওয়ামীলীগের প্যানেল আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে ছিলো। সেই সময় কিন্তু তারা তার জন্য সামান্যতম আন্দোলনও করে নাই, বিচারও চায় নাই।
তাই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদকে তিনি আইনজীবীদের পক্ষের শক্তি উল্লেখ করে বলেন, সমন্বয় পরিষদ আইনজীবীদের জিম্মি করে, আদালতকে জিম্মি করে তারা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে।
তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকে মানুষ গণতন্ত্রের শিক্ষা নেয়। অথচ গত তিন বছর যাবত এই সমিতিকেই তারা কুষ্টিগত করার জন্য এই যেভাবে ব্যবহার করেছে, তা সাধারণ আইনজীবীরা মেনে নিতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, তিন বছর আগে যতটুকু সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিলো বলে সেই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেল বিজয়ী লাভ করেছিলো। তাই ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনও তারা কুষ্টিগত করতে চাইবে। আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।
সরকার হুমায়ুন কবির ও কামাল হোসেন মোল্লার প্যানেলের পক্ষে ভোট আনতে হবে। তাহলে আইনজীবীরা তাদের হারানো গৌরব এবং সম্মান ফিরে পাবে।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুল হক হান্টুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট ফজলুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পদক এড. জাকির হোসেন, সাবেক পিপি নবী হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান।