সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রোকন উদ্দিন আহমেদ স্মরণে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমমনা উদ্যোগে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সমমনার পক্ষ থেকে রোকন আহমেদের জীবনবৃত্তান্ত তার সহধর্মিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তার স্মরণে বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক কমিটি, ন্যাপ জেলা কমিটি, প্যারাডাইজ কেবল লি. শ্রমিক ইউনিয়ন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট, একতা খেলাঘর, প্রগতি লেখক সংঘ, উদীচী, উন্মেষ সাংস্কৃতি সংসদ সহ নারয়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।সমমনার সভাপতি দুলাল সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. মন্টু ঘোষ, নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাড. এ বি সিদ্দিক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, মহিলা পরিষদের জেলা সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তী, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা ফোরামের সদস্য আবু নাইম খান বিপ্লব, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি রঘু অভিজিৎ রায়, উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবু, উদীচী জেলা সভাপতি জাহিদুল হক দিপু, মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রোকন উদ্দিন আহমেদের সহধর্মীনী রীনা আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানি শংকর রায়, প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, কবি জিয়াউল ইসলাম কাজল প্রমুখ।আনোয়ার হোসেন বলেন, রোকন উদ্দিন আহমেদ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আজকের এই দিনে তাঁর মতো রাজনীতিবিদের খুব অভাব।
আমি যখন রাজনীতিতে দিশেহারা হয়ে যেতাম তখন রোকন আহমেদ আমাকে পথ দেখাতো। সে আমাকে বলত হতাশার কোন কারণ নেই, হতাশা শেষে আলো আসবে। আমার রাজনৈতিক জীবনে রোকন আহমেদ একজন পরামর্শদাতা হিসেবে সাহায্য করেছে। তাদের অনুসারীদের বলতে চাই আমরা যেন তার আদর্শ অনুযায়ী চলতে পারি। তার শোকাহত পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।
রফিউর রাব্বি বলেন, রোকন আহমেদের স্মরণে এই শোকসভা আয়োজন করার জন্য আমি সমমনাসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার স্মৃতিতে আমরা সবাই শোকহত।অ্যাড. মন্টু ঘোষ বলেন, রোকন আহমেদ নিঃসন্দেহে একজন নির্লোভী ব্যক্তি ছিলেন। দল, মত নির্বিশেষে এবং জাত, কাল ও পাত্রের উর্দ্ধে সবাইকে সমন্বয় করার গুণাবলি ছিল তার।রীনা আহমেদ বলেন, যারা এই শোকসভাটি আয়োজন করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ৪৩ বছরের পথচলাই রোকন আহমেদ একজন স্বামীর চেয়ে বন্ধু ছিল বেশী।
আমার প্রতিটি কাজে সে আমাকে সাহায্য করেছে। করোনাকালে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যারা তাকে দেখতে গিয়েছে তাদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি আজীবন আদর্শ, সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে গেছেন। আমি কামনা করছি যেন আমার পরিবার থেকে সেই সততা ধরে রাখতে পারি।