1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী আজ - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বশিষে উদ্দশ্যেে র্গামন্টেস শ্রমকি ফ্রন্টরে নতেৃবৃন্দরে নামেবভ্রিান্তকির সংবাদ প্রকাশরে প্রতবিাদ সংখ্যানুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন দেশের জনগণ মেনে নিবে না পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত সেলিম খন্দকার খোকার মত্যুতে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ জান্নাতুল বাকিতে ডা. রাশেদার দাফন সম্পন্ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-এর সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃকর্মীদের সাক্ষাত ইসলামী আন্দোলন নগর সাংগঠনিক সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৬০ Time View
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্মজয়ন্তী (ছবনি সকাল নারায়ানগঞ্জ)

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ আজ এশিয়াখ্যাত তথা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর রণদা প্রসাদ (রায় বাহাদুর আরপি) সাহা’র ১২৩তম জন্মজয়ন্তী। দিনটি উপলক্ষে তার নিজ গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সাহা পাড়া এলাকায় ও তার প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সেবাধর্মী ও শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান- কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং ইন্সটিটিউট সহ নারায়ণগঞ্জ ও কলকাতায় তার প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংস্থায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

১৮৯৬ সালের আজকের এই দিনে (১৫ নভেম্বর) তিনি ঢাকার অদূরে সাভারের কাছুর গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লৌহজং নদীবিধৌত মির্জাপুরের সাহা পাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার ও মাতার নাম কুমুদিনী দেবী। 

আরপি সাহার যখন মাত্র ১৪ বছর বয়স তখন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য মুটের কাজ সহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সময় বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোরে যোগ দিয়ে মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমান ইরাক) যান। সেখানে তিনি হাসপাতালে এক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রোগীদের জীবন বাঁচালে তাকে ১৯৯৬ সালে নবপ্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল রেজিমেন্ট কমিশন প্রদান করা হয়। যুদ্ধ শেষে ১৯১৯ সালে পঞ্চম জর্জের সাথে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেয়ে ইংল্যান্ড সফর করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সেনাবাহিনী ত্যাগ করে রেলওয়ে বিভাগে টিকেট কালেক্টরের চাকরি নেন। পরবর্তীতে ১৯৩২ সালে চাকরি ছেড়ে নিজ উপার্জিত অর্থ দিয়ে কয়লার ব্যবসা শুরু করেন। এভাবেই মাত্র চার বছরে হতদরিদ্র রণদা প্রসাদ সাহা ব্যবসায়িক সাফল্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তবে প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া সত্বেও তিনি তা নিজের বা পরিবারের কাজে ব্যয় না করে বরং দেশ ও জাতির কল্যাণে মানবসেবায় দান করেছেন। 

তার বয়স যখন সাত বছর তখন তার মাতা সন্তান প্রসবকালে ধনুষ্টংকারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু দেখে তিনি নিজ গ্রাম মির্জাপুরে প্রথমে ১৯৩৮ সালে মায়ের নামে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ‘কুমুদিনী ডিস্পেনসারী’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৪৪ সালে সেটিই কুমুদিনী হাসপাতাল নামে পূর্ণতা লাভ করে। ১৯৪২ সালে তার প্রপিতামহী ভারতেশ্বরী দেবীর নামে ‘ভারতেশ্বরী বিদ্যাপীঠ’ স্থাপন করে ঐ অঞ্চলে নারীশিক্ষার সুযোগ করে দেন যা পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে ভারতেশ্বরী হোমসে রুপলাভ করে। ১৯৪৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা সদরে কুমুদিনী মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তার শ্বশুরবাড়ির এলাকায় মানিকগঞ্জে পিতার নামে দেবেন্দ্রনাথ কলেজ স্থাপন করেন। 

১৯৪৩-৪৪ সালে সংঘটিত পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময় তিনি রেডক্রস সোসাইটিকে এককালীন তিন লক্ষ টাকা দান করেন। পাশাপাশি ক্ষুধার্তদের জন্য চার মাসব্যাপী সারাদেশে দুইশত পঞ্চাশটি লঙ্গরখানা খোলা রাখেন। ১৯৪৭ সালে রণদা প্রসাদ তার সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরীবদের উদ্দেশ্যে ব্যয় করার জন্য ‘কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল’ নামে একটি অলাভজনক প্রাইভেট কোম্পানী রেজিস্টার্ড করেন। এছাড়াও তিনি মির্জাপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত মির্জাপুর সদয় কৃষ্ণ (এস.কে) পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান এবং ঢাকার কম্বাইন্ড মিলিটারী হসপিটাল (সিএমএইচ) এর প্রসূতি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

মানবতাধর্মী কাজে সম্পৃক্ত থাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার রণদা প্রসাদ সাহাকে ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মানবসেবায় অসামান্য অবদান রাখায় ও তার কাজের যথাযথ স্বীকৃতি স্বরুপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ (মরোণত্তর) প্রদান করেন। নারীশিক্ষার জাগরণে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী ও মানবসেবায় নিজের সর্বস্ব দান করায় তিনি দানবীর আর.পি সাহা নামেও সবার নিকট সুপরিচিত ও ইতিহাসের পাতায় চির অমর হয়ে থাকবেন।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL