সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনায় কেউ অপপ্রচার করে এলাকায় ভয়ের সঞ্চার করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন এনসিসি ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।
বুধবার রাতে কাউন্সিলর দিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কঠোর হুশিয়ারি জানান।
দিনা জানান,করোনায় অপপ্রচার চালানো নয় বরং তাদেরকে ভালোবাসার চোখে দেখতে হবে।আজ আপনি করোনা রোগীকে ঘৃনা করছেন আগামীকাল যে আপনার করোনা হবেনা তার কোন গ্যারান্টি আছে?এইটা একটা মহামারী। আল্লাহ পাক এই মহামারী দিয়েছেন আবার তিনিই আমাদের রক্ষা করবেন।
তাই সবাই আল্লাহ কে ডাকুন, সচেতন হন এবং আপনার আশে পাশে কেও করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে যতটুকু পারেন নিজেকে সেইফ রেখে সহোযোগিতা করুন।আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে বুঝার ক্ষমতা দেক এই প্রত্যাশা করি।
দিনা আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নির্দেশনায় আজকে রাতে কদমতলী ৭ নং ওয়ার্ডে আমি ও রিপন ভাই সহ আমার কদমতলী ৭ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক কমিটি নিয়ে নয়া পাড়াতে যাই ।সেখানে তানিয়া নামে একটি মেয়ে পটুয়াখালী বাড়ী এখানে ভাড়া থাকে।
মেয়েটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো প্রথমে ওর জ্বর স্বর্দির উপস্বর্গ দেখা দিলে মেয়েটি করোনা টেস্ট করায় এবং পজিটিভ রেজাল্ট আসলে মেয়েটি সাজেদা ক্লিনিকে ভর্তি হয় এবং সেখানকার চিকিৎসায় সুস্হ হয়ে আবার নমুনা পরীক্ষা করালে তার করোনা নেগেটিভ আসে।এরপর মেয়েটি যেই বাসায় ভাড়া থাকতো সেই বাসায় মেয়েটিকে ঢুকতে দিতে চায়না পরে আমার রিকোয়েস্টে মেয়েটিকে বাসায় দিয়ে আসি এবং সবার সামনে আমি গিয়ে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরি এবং সবাই কে বুঝাই কারো করোনা হলে তাকে ঘৃনার চেখে নয় ভালোবাসা এবং সহানুভূতির চোখে দেখতে হবে।
এরপর ঐ মেয়েকে আমি ও রিপন ভাই মিলে এক মাসের যাবতীয় খাবার ও ৫০০ টাকা হাতে দিয়ে আসি। এলাকার সবাই ঐমেয়েটাকে এবং ঐ বাড়ীওয়ালাদের যেনো কোন দৃস্টি কটু ভাবে না দেখে সে বিষয় টি নিশ্চিত করে আসি।
নাসিকের এই কাউন্সিলর আরও জানান,এরপর যাই ৭ নং ওয়ার্ড ভান্ডারীপুল নয়াপাড়া এলাকায়। সেখানে গত পরশু রাতে হানিফ নামে একজন লিভার সমস্যায় মারা যায় কিন্তু এলাকার কিছু লোক এটাকে করোনায় মারা গেছে বলে অপপ্রচার চালায়।এরপর তাদের এলাকার মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করে এমনকি মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া পড়ালে সেই দোয়ার তোবারকও ভয়ে কেও নেয়না।এলাকার দোকানদার হতে শুরু করে অনেক মানুষই তাদের সাথে অস্বাভাবিক আচরন শুরু করে।তাদের বাড়ীর সিমানা দিয়েও কেও হাটেনা ভয়ে।
ফলে তারা একদিকে মৃত্যু শোক অন্য দিকে এলাকাবাসীর এই ব্যবহারে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরে।এখবর পেয়ে আমি ঐবাড়ীতে আমার স্বেচ্ছা সেবক টিম সহ যাই এবং মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী কে জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দেই।তারপর ঐ এলাকার আশে পাশের সবাইকে বুঝাই এবং অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে বলি। মৃত ব্যক্তির মর্মাহত স্ত্রীকে আমি জড়িয়ে ধরলে তখন অনককেই স্বাভাবিক হতে দেখি।আসুন আমরা সবাই সচেতনতা বৃদ্ধি করে করোনা যুদ্ধকে মোকাবেলা করি।