সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

১। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। র‌্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জন্য নিয়মিত সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ০৯ জুন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ০১৪০ ঘটিকার সময় নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন করমুল্যা বাজারস্থ মেসার্স মোহাম্মদ ট্রেডার্স নামক দোকানে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ১। মোঃ হাম্মাদুর রহমান @হাম্মাদ (১৯) ও ২। মোঃ রাশেদ (২০)’কে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের দখল হতে ০৯টি বিদেশী ধারালো কুড়াল উদ্ধার করা হয়।

৩। গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, আসামী মোঃ হাম্মাদুর রহমান @হাম্মাদ এর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন শৈল্যাডলি এলাকায় এবং মোঃ রাশেদ এর বাড়ি একই থানাধীন পশ্চিম এওজবালিয়া এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুধারাম থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আসছে। তাদের অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে সংক্ষুদ্ধ জনগন কথা বলার এবং এর প্রতিকার চাওয়ার সাহস পেতো না। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রর্দশন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এসকল সন্ত্রাসী কর্মকন্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল তাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে অদ্য ০৯ জুন ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ০১৪০ ঘটিকার সময় ০৯টি বিদেশী. ধারালো অস্ত্রসহ হাতে-নাতে উপরোক্ত ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।