সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্বামী সংসদ সদস্য সেলিম ওসামনের পর এর উপহার সামগ্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের করোনা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশে দাড়ালেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। বুধবার ১৩ মে বিকেলে স্বস্ত্রীক নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী স্কুলে স্থাপিত নারায়ণগঞ্জের করোনা হাসপাতালের অস্থায়ী আবাসস্থল পরির্দশন করেন এমপি সেলিম ওসামন।
এ সময় মিসেস নাসরিন ওসমানের পক্ষ থেকে ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ডসহ মোট ৩৫১জনের উপহার সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপহার প্যাকেটের ভেতরে রয়েছে বড় এক প্যাকেট ল্যাক্সাস বিস্কুট, এক প্যাকেট প্রান টোস্ট বিস্কুট, ৪০০ গ্রাম প্রাণ গুড়ো দুধ, এক কেজি ফ্রেশ চিনি, একটি ড্যানিস কনডেন্সমিল্ক, এক প্যাকেট ইস্পাহানি মির্জাপুর চা, ও ২৫০ গ্রামের একটি হরলিক্স।
এ সময় মিসেস নাসরিন ওসমান ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সাহসিকার সাথে সেবা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে ভাল রাখছেন। তাই আমিও আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তাই আমি আজকে এখানে এসেছি। আপনাদের জন্য সামান্য কিছু নিয়ে এসেছি। আপনারা ভাল থাকবেন। নিজেরা সুরক্ষিত থাকবেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা সুস্থ্য থাকবেন। আপনরা সুস্থ্য থাকলে আমাদের সুস্থ্য রাখতে পারবেন। আর আমি কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যখনই খোজ নেই তখনই শুনতে পাই ও এই স্কুলে রয়েছে। ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জে একটি করোনা হাসপাতাল তৈরি করতে পেরেছি। ডাক্তার সঞ্চয় সুন্দর ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরে ছিলো। আজকে এই হাসপাতালটি হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জের মানুষের সাহস বেড়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও মানুষ বাইরে বেরিয়ে এসেছে। সবার মাঝে একটি ধারনা হয়েছে যে হাসপাতাল হয়েছে চিকিৎসা পাবো সুস্থ্য হবো।
আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি মার্কেট গুলোতেও ভিড়। কিন্তু কিছু মানুষ আমার অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সেই মানুষদের জন্য করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা আমার নির্বাচনী এলাকায় ৪ ধাপে ৫ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল ও ৩০ হাজার কেজি ডাল বিতরন করতে পেরেছি। এর এই সমস্ত চাল সমস্ত কিছু সংগ্রহ করতে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না আমাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ডবয় দের থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করতে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। আমি কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুর কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ও ৩০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শামসুদ্দোহা সঞ্চয়।
প্রসঙ্গত, এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নার্স এবং ওয়ার্ড বয় সহ মোট ১০০ জনের থাকা খাওয়া সহ সার্বিক ব্যবস্থা করতে নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমী স্কুলে তাদের জন্য অস্থায়ী আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে। তার সাথে তাদেরকে সেহেরি, ইফতার, ও রাতের খাবার সকল কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ডাক্তার যারা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে রাত্রি যাপন করছেন। তাদের সকলের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগীদের জরুরি সেবা দিতে ২ মাসের জন্য ৬টি ভাড়া করার অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে ২০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। এর বাইরে নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৯লাখ টাকা ব্যয় এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহিবল থেকে বহন করা হচ্ছে। যা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।