সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
এনে ছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রান, মরণে তাই তুমি করে গেলে দান, দেশ বরেণ্য বিজ্ঞানী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মহান আল্লাহতালা তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন এই কামনায় দোয়া করেন নারায়ণগন্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার, সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনাথপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও গরীবের উকিল নামে খ্যাত নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া। এক বিশেষ সাক্ষৎাকারে মরহুমের আত্নার মাগফিরাত করে এবং দেশনেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করে এক গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া।
তিনি জানান, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থেকেও তার নির্মোহ জীবনযাপন তাকে জাতির কাছে করেছে চির অমর। ব্যক্তি জীবনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে অভ্যস্থ এই বিজ্ঞানীর দুই সন্তান। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই রাত ৮টায় প্রথম সন্তান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম। একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল বিশ্বের একজন খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী।
বঙ্গবন্ধুর জামাতা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হওয়া সত্ত্বেও ড. ওয়াজেদ মিয়াকে কখনও ক্ষমতার কাছাকাছি দেখা যায়নি। তার ডাক নাম সুধা মিয়া।তিনি ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়েজুন্নেসা। তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ তিনি চককরিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। মানসম্মত লেখাপড়ার জন্য তাকে রংপুর জিলা স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকেই তিনি ডিসটিনকশনসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন।
১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পর ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতির সাথে।
১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। এ কর্মবীর বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯ মে পরলোকগমন করেন।তিনি ছিলেন দেশে আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। তিনি পরমাণু গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন।
ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিল বিস্তৃত। তিনি ফান্ডামেন্টাল ইন্টারেকশন এন্ড পার্টিক্যাল ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার এন্ড রেক্টর ফিজিক্স, সলিড স্টেট ফিজিক্স, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম, হেল্থ এন্ড রেডিয়েশন ফিজিক্স, রিনিউবল এনার্জি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা করেন