সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়নগঞ্জে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মহামারি করোনার বিস্তার ঠেকাতে চলছে লকডাউন। এদিকে করোনা আতঙ্কের মধ্যে বাসা থেকে বের হতে পারছে না অনেকে । টানা গৃহবন্দি থেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এরুকম পরিস্থিতিতে একটি চমকে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকালে নাসিক ৮ নং ওয়ার্ডে টাকার জন্য এক নারী বাচ্চা ডেলিভারি করতে পারছিল না লকডাউনের জন্য।ঠিক তখনি মানবতার মা নাসিক ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা ছুটে এসে সুফিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই মা পেলো একটি ফুটফুটে সন্তান।সমস্যা কতটা চরমে পৌঁছেছে তা আজকের এই ঘটনা প্রমাণ দিল।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর দিনা জানান,আজ ৮ নং ওয়ার্ড এর এক বোন সকালে ফোন দিয়েই কান্না করে বললো সে গর্ভবতী তার ডেলিভারির ব্যাথা শুরু হয়েছে কিন্তু লকডাউন এর কারনে তার স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে ঘরে বসা কোন টাকা তাদের হাতে নেই।
এই বিপদের কথা শুনে সাথে সাথেই আমি ঐ বোনের বাড়ীতে গিয়ে তাকে নিয়ে সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালে যাই।সুফিয়া জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ তাইফুর ভাই ও তার স্ত্রী নাসিমা হাসান স্মৃতি আপার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পারিবারিক সম্পর্ক। ডাঃ তাইফুর ভাই সাথে সাথে রোগী কে হাসপাতালে ভর্তি করে ডেলিভারি করেন এবং অতঃপর একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এই প্রতিনিধি আরো জানান,আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্হ আছেন এবং তাদের ডেলিভারি হতে বাড়ী যাওয়া পর্যন্ত সকল দায়িত্ব আমি নিলাম।আপনার আশে পাশেও থাকতে পারে এমন কেও।
এইটা একটি নারীর জন্য অত্যান্ত বিপদময় একটা মুহূর্ত। এই লকডাউনে আপনিও আপনার সামর্থ অনুযায়ী একজন গর্ভবতী মায়ের খোজ খবর রাখতে পারেন তাহলে হয়ত আল্লাহর রহমতে সুরক্ষা পাবে একটি মা একটি শিশু। পরিশেষে তিনি সুফিয়া হাসপাতালের ডাঃ তাইফুর ও নাসিমা হাসান সৃত্মিকে অশেষ ধন্যবাদ জানায়।