সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনাভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সকল ক্রিকেট কার্যক্রম। কবে নাগাদ এই অবস্থার উন্নতি হবে তা সঠিক কেউ বলতে পারে না৷ ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা এবং সকল কোচেরা বাসায় রয়েছেন। দ্বিতীয় বিভাগ, কোয়ালিফাইং এবং স্কুল ক্রিকেট মাঠে গড়ালেও এখনো বাকি আছে নারায়ণগঞ্জ প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগ। যেখানে নারায়নগঞ্জের শীর্ষ ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করে থাকে।
করোনার কারনে এবারের প্রিমিয়ার লিগ মাঠে নাও গড়াতে পারে। প্রিমিয়ার লিগে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করে থাকেন। এমনিতেই নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ ক্রিকেটারদের প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া কোনো টুর্নামেন্ট থাকেনা। শুধুমাত্র প্রিমিয়ার লিগ খেলেই তারা তাদের ক্রিকেটীয় দক্ষতার প্রমান দিতে হয়। এমতাবস্থায় যদি এবারের প্রিমিয়ার লিগ মাঠে না গড়ায় তাহলে এ মৌসুমে আর মাঠে নামা হবে না ক্রিকেটারদের৷
করোনার কারনে প্র্যাক্টিস বন্ধ হয়ে আছে। ঘরে বসে একদম অলস সময়ই পার করছেন ক্রিকেটাররা। ঘরের মধ্যেই নিজেকে ফিট রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। স্থানীয় এক শীর্ষ ক্রিকেটারের সাথে কথা বলে জানা গেল খেলোয়াড়েরা খুব হতাশার মধ্যে আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে ঈদের পর লিগ আয়োজন করার কথা কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হবে কিনা তা কারও জানা নেই। ঐ ক্রিকেটার আরও বলেন, বছরে আমাদের খেলা এমনিতেই অনেক কম থাকে। আমরা মাঠে নামার সুযোগ অনেক কম পাই। এর মধ্যে যদি এবারের লিগ না হয় তা হবে অনেক হতাশার। তারপরেও ঘরেই নিজেদের মতো করে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি।”
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি হতাশায় ভুগছেন নারায়নগঞ্জের স্থানীয় কোচেরাও। সকল ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ফলে তারাও ঘরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে গেছেন। লকডাউনের কারনে তাদের একমাত্র আয়ের উৎস ক্রিকেট কোচিং যে বন্ধ হয়ে আছে প্রায় দুই মাস ধরে। নারায়ণগঞ্জের কোচেরা বিসিবির তালিকাভুক্ত কোচ হলেও তারা কোন মাসিক সম্মানি পান না। ফলে তাদের নির্ভর থাকতে হয় ক্রিকেট কোচিংয়ের উপর৷
করোনার এই বিপদের সময় তারা এখন পযর্ন্ত কোন অনুদান পাননি নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রিড়া সংস্থার থেকেও। এমতাবস্থায় তারা অনেকেই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পাড় করছেন।
মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তাদের এই বিপদের কথা কাউকে বলতেও পারছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেট কোচ বলেন “আমরা অনেক কঠিন সময় পাড় করছি। জানি না আর কতোদিন এই বিপদে টিকে থাকতে পারবো। যদি নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রিড়া সংস্থা এবং বিসিবি আমাদের পাশে দাড়ায় তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে”।