সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে প্রাদুভার্ব বদলে দিয়েছে গোটা বিশ্বের বাস্তবতা। করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড ১৯ নামের এই ভাইরাস প্রতিনিয়তই মানুষের জীবনকে হুমকির পাশাপাশি ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চয়তার দিকে। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের সময়ে চারপাশ যেন ভরে উঠছে দুঃসংবাদে। তবে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া নভেল-১৯ করোনা ভাইরাসে এই সময়টাতে দেখা মিলছে মানবিক কিছু মানুষেরও। বিশেষ করে দেশের প্রায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দিনমজুর, খেটে-খাওয়া, নিম্ন-আয়ের, অসহায়, সাধারণ মানুষ যখন বিপাকে পড়ে তখন সরকার, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই।
এটা যে শুধু বাংলাদেশে তা নয় বরং গোটা বিশ্বেই দেখা মিলছে এরকম কিছু মানবিক মানুষের। এই সময়টাতে গরীবদের জন্য খাদ্য সামগ্রী আর সামাজিক এবং মানবিক সহায়তা করে ইতোমধ্যেই আলোচনায় উঠে এসেছেন সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনাথপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও গরীবের উকিল নামে খ্যাত নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া। তবে এবার তিনি তার নিজ এলাকা পৌর ভবনাথপুর গ্রামের নিজ এলাকা (মদিনা আবাসিক এলাকায়) প্রতিবেশীদের নগদ অর্থ দিয়ে অসহায় ও দুস্থদের সহায়তা করেছেন।
গত সোমবার ৪ঠা, মে, ২০২০ ইং তারিখে তিনি নিজে নিজ হাতে ঘুরে ঘুরে মহল্লার গরীব ও অসহায়দের মধ্যে নগদ টাকা সহায়তা প্রদান করে।
এ বিষয়ে এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-পবিত্র রমজান মাস বরকত, রহমত ও ক্ষমার মাস। আমার একটি ভালো কাজের জন্য যদি মহল্লাবাশী উপকৃত হয় তবে এর প্রতিদান আল্লাহ আমাকে দিবেন। আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য গরীব ও অসহায় মানুষকে সাহায্য এবং সহযোগীতা করি। মোট কত টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন সাধ্যমত দিয়েছি। আগামী শুক্রবার এলাকাবাসীকে শাক সবজী বা তরকারী প্রদান করিব। তিনি দু হাত জোড় করে এলাকার বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার কাজে এলাকাবাশী খুবই খুশি।
পৌর ভবনাথপুর গ্রামের মদিনা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো: আবুল হোসেন এই প্রতিনিধিকে মোবাইলে বলেন এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া আমাদের এলাকার গর্ব। তার মতো উপকারী মানবিক মানুষ যদি প্রতি মহল্লায় একজন থাকতো তবে সমাজের চিত্রটা বদলে যেত। উল্লেখ্য যে, ইতি পূর্বে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের পাশে থেকে নানা ভাবে সাহায্য ও সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। প্রথমে তিনি মাইকিং করে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাতকোপা, অনন্তমুছা, চৌদানা, পৌর ভবনাথপুর, দত্তপাড়া (মুসলিম নগর), জয়রামপুর, গোবিন্দপুর, চকসোনারগাঁ, বাড়ি শ্যামকুমার, দক্ষিন ষোলপাড়া মোট ১০ গ্রামে করোনা ভাইরাস থেকে কি ভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় তার জন্যতিনি মাইকিং করেন এবং জনগণকে সচেতনামুলক লিফলেট বিতরন করেন।
সেই সাথে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সোনারগাঁ উপজেলার মেইন গেইটের সামনে দারিদ্রদের মধ্যে বিনা মূল্যে ২০০ পিছ মাক্স বিতরণ করেন। এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া নিজের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন। করোনা ভাইরাসে লকডাউনে থাকাকর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িছেন তিনি সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনাথপুর গ্রামের ৫০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
তার খাদ্য সহায়তায় ছিল ৫ কেজি চাউল, আধা কেজি ডাউল, আধা কেজি তৈল, আধা কেজি পিয়াজ, আধা কেজি লবন, ২.৫ কেজি আলু এবং হাত মুখ পরিস্কার করার জন্য একটি সাবান এবং সাধ্যমত অনেক পরিবারকে করেছেন আর্থিক সহায়তা। গত ২৩শে এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে সোনারগাঁয়ের কৃতি সন্তান সৌদি আরব প্রবাসী এডভোকেটমো: ফিরোজ মিয়ার বন্ধু সাজ্জাত হোসাইন এবং আজিজুল ইসলামের আর্থিক সহায়তায় সমাজ সেবক মো: রফিকুল ইসলাম কে সাথে নিয়ে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হাতকোপা, অনন্তমুছা, চৌদানা, পৌর ভবনাথপুর গ্রামের ৩০ জন গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে রাত ৮:৩০ মিনিটে রাতের অন্ধকারে ঘরে ঘরে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল১ কেজি মুড়ি, ১ কেজি ছোলা বুট, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি বেসন, আধা কেজি খেজুর, ১টি ট্যাংক শরবতের প্যাকেট।