সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
করোনা সন্দেহে নারায়ণগঞ্জে রেকর্ড দুই শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় এম ডব্লিউ স্কুলে এ নমুনা সংগ্রহ করে। যদিও নমুনা দিতে আসা লোকজনদের সংখ্যা ছিলো অনেক বেশী, তবে নমুনার কীট সঙ্কটের কারণে বেশী নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় নি বলে জানিয়েছে জেকেজি’র ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুটি স্কুলের বুথগুলোতে এ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দুপুর ২টার পর স্কুল দুটির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ২টার পরও ভিতরে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নমুনা সংগ্রহে ধীরগতির কারণে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় নমুনা দিতে আসা লোকজনের মাঝে। নমুনা দিতে আসা এক ব্যক্তি সকাল নারায়ণগঞ্জকে জানান, ভাই সকাল ৯টায় এসেছি, এখন বাজে দুপুর আড়াইটা মাত্র নমুনা দিলাম। অনেক দেরী হচ্ছে, ভিতরে নমুনা দিতে আসা মানুষের সংখ্যা ছিলো অনেক। সকাল থেকেই প্রচুর ভীড় ছিলো, কিন্তু তারা খুবই ধীর গতিতে নমুনা সংগ্রহ করছে। ফলে আমাদেরকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
নমুনা সংগ্রহে ধীর গতির বিষয়ে জেকেজি’র ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসকাল নারায়ণগঞ্জকে জানান, সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে এবং ডাক্তারদের নিরাপত্তার কারণে এর চেয়ে দ্রুত গতিতে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আসলে এর চেয়ে দ্রুত নমুনা নিতে গেলে নমুনা সংগ্রহে ভুল হতে পারে, তাছাড়া একসাথে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে করোনার বিস্তার আরো বেড়ে যেতে পারে তাই সময় নিয়ে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ও সঠিকভাবে সকলের নমুনা সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে। তবে কীট সঙ্কটের কারণেও অধিকসংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আমরা ছিলাম গাজীপুরে কিন্তু নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের দৃঢ়তার কারণেই আমরা (জেকেজি হেলথ কেয়ার) নারায়ণগঞ্জে এসেছি। অন্য কেউ হলে এটা পারতো না।
এ কর্মকর্তা আরো জানান, আমরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে এম ডব্লিউ স্কুলে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছি। তবে না জানার কারণে অনেকে রূপসী, রূপগঞ্জ সহ দুর-দুরান্ত থেকে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে আসছেন নমুনা দিতে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, যারা ঐ অঞ্চলে থাকেন তারা দয়া করে সিদ্ধিরগঞ্জের এম ডব্লিউ স্কুলে নমুনা দিবেন। এতে করে আপনার এবং আমাদের সকলের সময়ই বাঁচবে। তাছাড়া এতো দুর কষ্ট করে আসতে হবে না।