1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
দেশেই উৎপাদন হচ্ছে করোনা শনাক্তকরণ কিট - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বাবার জন্য নারায়ণগঞ্জ এর মানুষের কাছে দোয়া চাইলেন অয়ন ওসমান ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছে অয়ন ওসমান এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলা জাপা’র মিলাদ , দোয়া ও খাবার বিতরন  রূপগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ৬ অপহরণকারী আটক  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারদের সাথে লিরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ”র মতবিনিময় সভা-সম্পন্ন  ফ‌টো সাংবা‌দিক ‌মোক্তা‌র হোসেনের মাতার ইন্তেকা‌লে আজ‌মেরী ওসমা‌নের গভীর শোক না’গঞ্জ জেলা ও মহানগর ঐক‌্য প‌রিষ‌দের কর্মী স‌ম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত পূর্বাচলে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ রূপগঞ্জে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিশেষ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থী শিবিরে ভারতের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

দেশেই উৎপাদন হচ্ছে করোনা শনাক্তকরণ কিট

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০
  • ১০৬ Time View
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ

দেশেই উৎপাদন হবে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট। যে কিট ব্যবহারে স্বল্প সময়ে জানা যাবে সন্দেহজনক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। বর্তমানে ভাইরাসটি শনাক্ত করতে যে কিট ব্যবহার করা হয় সেটি সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।

দেশে উৎপাদিত কিটে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে একটি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যয় হবে দু’শ টাকা।

যেখানে বর্তমানে সরকারিভাবে একটি পরীক্ষা করতে ব্যয় হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। কাজটি ইতিমধ্যে শুরু করেছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড।

গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেকের পক্ষে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার যুগান্তরকে বলেন, এর আগে ২০০৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সার্স (সিভিয়ার রেসপারেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করে।

তখন বাংলাদেশি একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সার্স ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট আবিষ্কার করেন। সেই ড. বিজন বর্তমানে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে কর্মরত।

যেহেতু সার্স এবং নতুন করোনাভাইরাস একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তাই সার্স শনাক্তকরণ কিটের কিছুটা পরিবর্তন এনে স্বল্প সময়ে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরি করা সম্ভব।

ইতিমধ্যে ড. বিজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়লজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনানসহ কয়েকজন এই কিট তৈরির কাজ শুরু করেছেন। আজ সোমবার ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে’ এই কিট উৎপাদন অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।

কিট উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়লজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনান যুগান্তরকে বলেন, যে কোনো ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে হলে অবশ্যই তার জেনেটিক তথ্য জানা থাকতে হবে।

পাশাপাশি ভাইরাসটির ইউনিক সিকুয়েন্স, সারফেস প্রোটিন সম্পর্কে সব তথ্যের বিশ্লেষণ থাকা চাই। ইতিমধ্যে এই বিষয়গুলো আমাদের আয়ত্তে রয়েছে। যে কিটটি আমরা তৈরি করছি সেটিতে ভাইরাসের বিপরীতে রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের এন্টিবডির প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করা হবে। এজন্য আমাদের সার্ফেস প্রোটিন আমদানি করতে হবে। যেখানে ভাইরাসটির নিউক্লিক এডিস বা সংক্রমণকারী বস্তু থাকবে না।

যে পদ্ধতিতে এই কিট তৈরি করা হবে তাকে বলা হয় ‘ডট ব্লট টেকনোলজি’। এই কিট কিভাবে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এই কিটে ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এর জন্য স্পুটাম নেয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমে সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্তের নমুনা নেয়া হবে। সেই রক্ত থেকে ‘সিরাম’ আলাদা করতে হবে। কিটে সেই সিরাম রেখে তার ওপর এন্টিজেনের বিক্রিয়া ঘটানো হবে।

যদি বিক্রিয়া হয় তাহলে সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের প্রাথমিক উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রমাণ হবে। বিক্রিয়া না করলে তিনি আক্রান্ত নন বলে বিবেচিত হবে। ইতিমধ্যে এই ডট ব্লট পদ্ধতি ব্যবহার করে চায়না ও আমেরিকাতে কিট তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলে রয়েছে।

একটি চাইনিজ কোম্পানি এটি বাজারজাত শুরু করেছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে যে কিটে নতুন করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়, সেটি মূলত ‘মলিকুলার’ টেস্ট কিট। এই পরীক্ষায় কিটে রোগীর নমুনা দিয়ে একটি মেশিনের মধ্যে রাখতে হয়। ঠিক যে পদ্ধতিতে হেপাটাইট ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ডট ব্লট পদ্ধতিতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট।

ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার জানান, এ ধরনের কিট উৎপাদন করতে হাইটেক ল্যাব প্রয়োজন। ইতিমধ্যে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক একটি হাইটেক ল্যাব স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পেলেই আমার প্রয়োজনীয় উপাদন আমদানি করব।

সব মিলিয়ে উৎপাদন করতে আমাদের এক মাস সময়ের প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে আমার ১০ হাজার ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এই কিট ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ল্যাবটি ‘তৃতীয় স্তরের’ বায়োসেফটি হতে হবে।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL