সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ
বিশ্বজুড়ে ‘করোনা’ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর নিশ্চিত হয়েছি আমরা। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাস্থ্য সম্পর্কিত সব নির্দেশনা মানার পাশাপাশি আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, জীবন-মৃত্যুর মালিক আল্লাহতায়ালা। আল্লাহ হেফাজত না করলে কোনো কিছুই আমাদের বাঁচাতে পারবে না। আর আল্লাহর রহমতের চাঁদরের নিচে থাকলে কোনো কিছুই আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।
রোগ-শোক, বিপদ-আপদ, মহামারি থেকে বাঁচতে রাসূল (সা.) সাহাবিদের অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। রাসূল (সা.)-এর প্রিয় নাতি আলী (রা.)-এর ছেলে হজরত হাসান (রা.) থেকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দোয়া হাদিসের কিতাবে এসেছে। হাসান (রা.) বলেনে, নানাজান আমাকে এ দোয়াটি শিখিয়েছেন এবং বলেছেন আমি যেন বিতরের নামাজে এ দোয়টি পড়ি। আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা সব ধরনের রোগ-শোক, বালা-মুসিবত থেকে আমাদের হেফাজত করবেন। দোয়াটি হল-
হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত করুন, যাদের আপনি হেদায়াত করেছেন তাদের সঙ্গে।
হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখুন, যাদের আপনি নিরাপদ রেখেছেন তাদের সঙ্গে।
হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন, যাদের আপনি সুস্থ রেখেছেন তাদের সঙ্গে।
হে আল্লাহ! আমার অভিভাবক হয়ে যান, যাদের আপনি অভিভাবক হয়েছেন তাদের সঙ্গে।
হে আল্লাহ! আমাকে আপনি যেসব নেয়ামত দিয়েছেন, সেগুলো কল্যাণে ভরপুর করে দিন।
হে আল্লাহ! আমার ভাগ্যে কোনো অকল্যাণ থাকলে তা দূর করে দিন। আপনিই তাকদিরের মালিক। তাকদির পরিবর্তন করা আপনার জন্য খুবই সহজ ব্যাপার।
হে আল্লাহ! আপনি যার অভিভাবক হয়েছেন, কোনো মুসিবত তাকে স্পর্শ করবে না। আপনার রহমতের চাদর যার থেকে তুলে নিয়েছেন, মুসিবত কখনও তার পিছু ছাড়বে না।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রব। মহিয়ান-গরিয়ান আপনি। সবার ওপরে আপনার জায়গা।
তিরমিজি, নাসায়ি এবং ইবনে মাজাহ শরিফে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে। যদিও রাসূল (সা.) বিতর নামাজে দোয়ায়ে কুনুত হিসেবে দোয়াটি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও যে কোনো সময় আল্লাহর কাছে তন্ময়তার সঙ্গে নিরাপত্তা ও সুস্থতার উদ্দেশ্যে এ দোয়া পড়া যেতে পারে।
দোয়াটির আরবি ইবারত তুলে দেয়া হল-
আল্লাহুম্মাহদিনি ফি মান হাদাইতা, ওয়াফিনি ফি মান আফাইতা, ওয়াতাওয়াল্লানি ফি মান তাওয়াল্লাইতা, ওয়া বারিকলি ফি মা আতাইতা, ওয়াকিনি শাররা মা কাদাইতা ফাইন্নাকা তাকদি, ওয়ালা ইউকদি আলাইকা, ওয়াইন্নাহু লাইয়াজিল্লু মান ওয়ালাইতা, ওয়ালা ইয়াইজ্জু মান আদাইতা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তা আলাইতা।
লেখক : শিক্ষক, মহামায়া হানাফিয়া উচ্চবিদ্যালয়, চাঁদপুর।