সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
৭ই মার্চ এইভাবেই আসে নাই আর এইভাবেও এই ৭ই মার্চ ভাষণের স্বীকৃতি আসে নাই। বহু ত্যাগ তিতিক্ষার ফল এই ৭ই মার্চ। আজকে ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ইতিহাসকে অস্বীকার করবেন না।
তাহলে ইতিহাস একদিন আপনাকে অস্বীকার করবে। এবং আজকে তাই হয়েছে। আজকে কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। বহু কালজয়ী নেতাদের ভাষণ সংরক্ষণ করা আছে কিন্তু কারো ভাষণই ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয় নাই। ৮টি ভাষায় এই ভাষণটি অনুবাদিত হয়েছে। আজকে আমাদের অনেক অর্জন কিন্তু আমাদের কিছু হাইব্রিড নেতাদের জন্য সব অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সেইসব নেতাদের থেকে সতর্ক থাকবেন।
শনিবার(০৭ মার্চ) সকালে নগরীর ২নং রেলগেইটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল হাই একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে সেই ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে জাতির জনককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সেই সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এবং ৭৫’এ নিহতদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। এই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি সব রকম দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সেই সাথে তিনি সবরকম ব্যবস্থা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। জাতির জনক যদি ব্যবস্থা না করে দিয়ে যেতেন তাহলে ভারত আমাদের আশ্রয় দিতো না। তারই একটি ভাষণে সেই দিন সাড়ে সাত কোটি মানুষ উদ্বোধিত হয়েছিলো যার বদৌলতে আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির,সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, জেলা মহিলালীগের সভানেত্রী ড. শিরিন বেগম, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল প্রমুখ।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা।