সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
সততা ও দেশপ্রেম সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি এসেছি দুই মাস হবে। কোথাও দেখিনি আমি, এই দুই মাসে আমার পুলিশ সদস্যরা কারো প্রতি অবহেলা করেছে বা জনগনের প্রতি অবিচার করেছে।
রবিবার(০১ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ লাইনে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জায়েদুল আলম পিপিএম(বার) একথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি নারায়ণগঞ্জগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রত্যেক সদ্যসের আত্মসম্মান বেড়ে গিয়েছে। তারা সবসময় কষ্ট করে। এর আগে আমি পার্শ্ববর্তী জেলায় সাড়ে তিন বছর কর্মরত ছিলাম।
কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এত কষ্ট করতে হয়, আমার মনে হয় না সারা বাংলাদেশে আর কোনো পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের এত কষ্ট হয়। ডিএমপিতেও দেখিনি এত কষ্ট করতে হয়।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে লোকের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখের মতো। আর পুলিশ মাত্র ২১শ। এই ২১শ পুলিশ সদস্য দিয়ে দিয়ে এত লোকের সেবা করা সত্যি দূরুহ। তারপরও সেটা করে যাচ্ছে। আমার মনে হয় আল্লাহর রহমত আর আপাদের জনপ্রতিনিধিদের সহায়তার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতি অনুরোধ রেখে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের খারাপ দিকটাই মানুষ বেশি প্রচার করে। আমি অনুরোধ জানাবো, সেই সাথে আমাদের কষ্টটাও দেখবেন। কষ্টটাও বলবেন। আমার পুলিশ সদস্যরা ঠিকমত ঘুমাতে পারে না। তারা দিনের মধ্যে মাত্র কয়েক ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন। এই নারায়ণগঞ্জে আরও পুলিশ সদস্য বাড়ানো দরকার। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। আপনারা যারা জনপ্রতিনিধি আছেন আপনারাও সংসদে এই কথাটা বলবেন। তাহলেই আমরা পুলিশ সদস্য পাবো। অন্তত আরও দুই হাজার সদস্য যাতে পাই। তাহলে আরও বেশি করে আপনাদের সেবা দিতে পারবো।
এইসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ জসীমউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা পুলিশিংয়ের সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী প্রমুখ।